>
প্রোটিন খাদ্য এবং প্যাংক্রিয়াটিক এনজাইম:
উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাদ্য এর সাথে প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সার এর সম্পর্ক আছে। পশু প্রোটিন এবং চর্বি ক্যান্সার উৎপাদনকারী পদার্থ হিসাবে কাজ করে। (Howatson 1983) লিম্ফোমা ক্যান্সার এর সাথে গরুর প্রোটিন গ্রহনের সম্পর্ক আছে। (Canningham 1976) প্যাংক্রিয়াটিক এনজাইম ট্রিপসিন ও কাইমোট্রিপসিন শ্বেত কনিকার সাথে যুক্ত হয়ে এদের বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রন করে। ক্যান্সার এর প্রোটিন আবরনীকে ধ্বংশ করে , শ্বেত কনিকাকে ক্যান্সার কোষ ধ্বংশে সাহায্য করে।
>
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
দেহের রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ,সব ধরনের রোগ এর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এবং ক্যানসার কোষ থেকে দেহ কে রক্ষা করে। প্রতিদিন ১ লক্ষ স্বাভাবিক কোষ , দেহে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হয়। (Sir Macferlane Burnet ,
Nobel prize winer for woking on Immunolgy)|
ক্যানসার সনাক্ত করন পদ্ধতি:
ক্যানসার আক্রান্ত কোষ এর আকার পরিবর্তন এবং ক্যানসার কোষ কিছু অস্বাভাবিক প্রোটিন এর নিঃসরন ঘটায় যা, স্বাভাবিক স্বুস্থ্য কোষে পরিলক্ষিত হয় না।
ক্যানসার সনাক্ত করনে নিন্মের প্রক্রিয়া গুলো অনুসরন করা হয়।
FNAC
(Fine-Needle aspiration Cytology): এটি এক ধরনের সুঁই যার মাধ্যমে টিউমার আক্রান্ত স্থান হতে কিছু কোষ সংগ্রহ করে, ইলেকট্রন অনুবীক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করা হয়। স্বাভাবিক কোষের বাহ্যিক গঠন ও ক্যানসার কোষের বাহ্যিক গঠন এক রকম হয় না। এ পার্থক্য পরিলক্ষিত করে একজন ‘বিশেষজ্ঞ’ এটি ক্যানসার আক্রান্ত কোষ কিনা সনাক্ত করেন।
CEA
(Carcino Embryonic Antigen): সাধারনতঃ ভ্রুনে এই ‘এন্টিজেন’(এক ধরনের প্রোটিন) অধিক পরিমানে পাওয়া যায়। জন্মের পর এ এন্টিজেন স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার আক্রান্ত হলে রক্তে এই এন্টিজেন এর পরিমান কয়েক গুন বেড়ে যায়। কোলো-রেকটাল ক্যানসার আক্রান্তদের এর পরিমান সনাক্ত করে রোগের তীব্রতা নির্ণয় করা হয়।
CA 19-9
(Carbohydrate Antigen 19-9): প্যাংক্রিয়াটিক ও কোলন ক্যানসার আক্রান্তদের রক্তে এ এন্টিজেন (এক ধরনের প্রোটিন) এর পরিমান বেশি পাওয়া যায়। প্যাংক্রিয়াটিক ক্যানসার সনাক্তকরন এ এন্টিজেন কে মূল মার্কার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
PSA (Prostate-specific Antigen): এটি এক ধরনের প্রোটিন যা প্রষ্টেট গ্ল্যান্ড এ তৈরি হয়। রক্তে উচু মাত্রার এই প্রোটিন ‘প্রষ্টেট ক্যানসার ’নির্দেশ করে। চঝঅ পরিক্ষা বিশ্ব জুড়ে প্রষ্টেট ক্যানসার চিকিৎসা পর্যবেক্ষন এর স্বীকৃত ব্যবস্থা।
AFP(Alfa-feto
protein): মেয়েরা সন্তান ধারন করলে রক্তে এ প্রোটিনের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। সন্তানের জন্মের পর এর পরিমান স্বাভাবিক থাকে। যকৃতের ক্যানসার এ এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। তাই লিভার ক্যানসার এর অবস্থা নির্ধারনের জন্য এটি কে মার্কার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
CT Scan
(Computer Tomography): এটির প্রযুক্তি এক্স-রে এর মত। একটি শক্তিশালী আলোক গুচ্ছ (আলফা-রে,গামা-রে) বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে ছুঁড়ে দেয়া হয়। প্রচলিত এক্স-রে ব্যবস্থায় আলোক গুচ্ছকে একটি ফ্লিমে ধারন করা হয়। সিটি স্ক্যান থেকে নিক্ষেপিত আলোক গুচ্ছ, সংকেত আকারে কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয়। একটি বিশেষ ধরনের সফট ওয়ার কম্পিউটারে সংরক্ষিত সংকেতগুলিকে একত্রিত করে একটি পূর্নাঙ্গ ‘ইমেজ’ দান করে।
সিটি স্ক্যান এর ছবিকে নিখুঁত ভাবে পাওয়ার জন্য রক্ত স্রোতে কিছু তেজষ্ক্রিয় পদার্থ যেমন .বেরিয়াম,আয়োডিন প্রবেশ করানো হয় দেহের অস্বাভাবিক কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্য সিটি স্ক্যান করা হয়।
সিটি স্ক্যান এর অগ্রগামী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
CT Scan এ ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ এর শক্তিশালী আলোক গুচ্ছ (গামা-রে, আলফা-রে) কোষের উঘঅ এর মারাত্মক ক্ষতি করে। এই দীর্ঘ স্থায়ী ক্ষতির কারনে পরবর্তীতে টিউমার ও ক্যানসার দেখা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিটি স্ক্যান ব্যবহারকারীদের এক জরীপে জানা গেছে, ১.৫% - ২% পর্যন্ত ক্যান্সার এর ঝুঁকি থাকে।
MRI
(Megnetic Resonance Imaging): MRI একটি মেশিন যেটি একটি শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। দেহ বা দেহের কোন অংশকে এ চুম্বক ক্ষেত্রে স্থ্াপন করলে , মানব দেহের কিছু মৌলিক পদার্থ সাময়িক চুম্বকে পরিণত হয়। দেহের অধিকাংশই পানি দিয়ে তৈরি। আর পানি তৈরি হয় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এই দুটি মৌলিক পদার্থ দিয়ে। হাইড্রোজেন হচ্ছে সবচেয়ে হালকা মৌলিক পদার্থ । যখন দেহকে চুম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করা হয় তখন দেহের অভ্যন্তরের পানির হাইড্রোজেন দ্রুত চুম্বকে পরিণত হয় এবং নির্দিষ্ট দিকে সাড়িবদ্ধ হয়। প্রতিটি মৌলিক কনিকার কেন্দ্রে নির্দিষ্ট ‘বৈদ্যুতিকচুম্বকীয় ক্ষেত্র’ রয়েছে। এই ‘বৈদ্যুতিকচুম্বকীয় ক্ষেত্র’ মূলতঃ একাট আলোক কনিকা শক্তি। বাইরের চুম্বকীয় আবেশে, এই ক্ষেত্র থেকে যে আলোক শক্তির বিচ্ছুরন ঘটে, মূলতঃ ঐ শক্তিই বিশেষ কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষন করা হয়। বিশেষ ধরনের সফটওয়ার এই সংকেত গুলিকে একত্রিত করে একটি পূর্নাঙ্গ ‘ইমেজ’ প্রদান করে। তথ্যকে নিখুঁত ভাবে পাওয়ার জন্য কিছু ‘ক্যামিক্যাল এজেন্ট’ ব্যবহার করা হয়। MRI এ ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল এজেন্টটির নাম ‘গ্যাডোলিনিয়াম ’।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: যেহেতু MRI চুম্বক ক্ষেত্র তৈরির মাধ্যমে দেহ পদার্থের মৌলিক কনা গুলির কম্পন অবস্থা তৈরি করে সেহেতু দেহ কোষের প্রাণ রাসায়নিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। বার বার এমআরআই গ্রহনের ফলে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
PET scan (Positron Emission Tomography): এই মেশিন ব্যবহার করে দেহে ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়।
PET scan কিভাবে কাজ করে:
মানব কোষ ‘ গ্লুকোজ ’ ব্যবহার করে দেহের জন্য শক্তি উৎপাদন করে। এই উৎপাদিত শক্তিই কোষের সকল প্রাণ রাসায়নিক সংশ্লেষন ও বিশ্লেষনে ব্যবহৃত হয়। তাই গ্লুকোজ মেটাবলিজমে এর কোন ত্র“টি থাকলে দেহে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। কোষে গ্লুকোজের কার্যকারীতা পরীক্ষার জন্য মূলতঃ পেট স্ক্যান ব্যবহার করা হয়। গ্লুকোজের একটি অনুরূপ (এনালগ) বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। এই এনালগ গ্লুকোজের সাথে একটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ফ্লোরিন-১৮ যুক্ত করা হয়। এটি অতি শক্তিশালী গামা-রে নিক্ষেপ করে। এই তেজষ্ক্রিয় ফ্লোরিন যুক্ত তৈরিকৃত নতুন গ্লুকোজটির নাম FDG’(Flourin
Deoxy glucose । এই তেজষ্ক্রিয় গ্লুকোজ রক্তস্রোতে প্রবেশ করানো হয়। কোষ স্বাভাবিক নিয়মেই এই গ্লুকোজ গ্রহণ করে । গ্লুকোজের মেটাবলিজমের প্রতিটি স্তরে , তেজষ্ক্রিয় ফ্লোরিনের বিকিরন চলতে থাকে। আর এই বিকিরন শক্তিই সংকেত আকারে বিশেষ কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষন করা হয়। একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়ার , সংরক্ষিত সংকেত গুলুকে একত্রিত করে একটি পূর্ন ‘ইমেজ ’প্রদান করে।
গবেষনায় জানা গেছে দেহের স্বাভাবিক কোষের চেয়ে ক্যান্সার কোষ সবচেয়ে বেশি পরিমান ‘গ্লুকোজ’ ব্যবহার করে। স্বাভাবিক নিয়মেই ‘ক্যানসার কোষ’ থেকে অধিক পরিমান বিকিরন রশ্মি গ্রাহক যন্ত্রে ধরা পড়ে। এবং বিশেষজ্ঞ স্বাভাবিক কোষ ও ক্যানসার কোষের পার্থক্য নির্ণয় করেন। পেট স্ক্যান ১ থেকে ২ সে:মি: আয়তনের টিউমার সনাক্ত করতে পারে। কিন্তু ক্যান্সার গবেষনায় জানা গেছে যে, দেহে যখন টিউমার সৃষ্টি হয় তখন সেটির আয়তন হয় ১সে:মি; এর ১০০০ ভাগের ১ ভাগ। অর্থাৎ ১ সে:মি: এর কম আয়তন বিশিষ্ট টিউমার কোষ পেট স্ক্যান সনাক্ত করতে সক্ষম নয়।
PET Scan এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: তেজষ্ক্রিয় ফ্লোরিনের বিচ্ছুরিত অতি শক্তিশালী বিকিরন (গামা-রে প্রতি সেকেন্ডে গতি ১লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল) কোষের DNA এর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। যা কোষের স্থায়ী রোগ,ক্যন্সার,টিউমার এবং বংশগত নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
ক্যান্সার চিকিৎসায় ‘এ্যালোপ্যাথিক ব্যবস্থাপনা’ সার্জারী, ক্যামোথেরাপী ও রেডিওথেরাপির ফলাফল:
ক্যানসার সার্জারী:
আধুনিক ক্যানসার চিকিৎসায় টিউমার এর প্রথম অবস্থায় সার্জারী বা অপারেশন এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। টিউমার আক্রান্ত কোষটি সঠিক ভাবে অপসারন করার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর জীবন দির্ঘায়িত করা সম্ভব হয়। কিন্তু অঙ্গের কোন কোন স্থানের টিউমার অপসারন অন্ত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ন। টিউমারের চেয়ে অপারেশনের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যেমন ,মস্তিষ্কের টিউমার অপারেশন। কারণ মস্তিষ্ক হচ্ছে সমস্ত দেহ কোষের নিয়ন্ত্রন কক্ষ। মস্তিষ্ক কোষে আক্রান্ত টিউমার দেহের যে কোন একটি কোষের কার্যক্রমকে ব্যহত করে। এভাবে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে অনেক কোষ নষ্ট হলে , দেহের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে মৃত্যুও ঘটাতে পারে। দ্বিতীয়তঃ অপারেশন এর মাধ্যমে অনেক অংশ জুড়ে অপসারন করা হয় বলে, অপারেশন এর মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশি। তা ছাড়া অঙ্গ সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হলে অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা বয়ে আনে না। সুতরাং অপারেশন টিউমার চিকিৎসায় শক্তিশালী কোন সমাধান নয়।
ক্যানসার কামোথেরাপী:
ক্যামোথেরাপী অর্থাৎ ক্যামিক্যল থেরাপী । এটি মূলত; গ্র“প অব ক্যামিক্যালস যা, রক্ত স্রোতে প্রেরন করা হয়। বিভিন্ন কার্যকারীতার ক্যামিক্যল (এন্টি ক্যান্সার এজেন্ট) এক সাথে প্রয়োগ করা হয়। এ ধরনের একটি সাধারন ক্যামোথেরাপী হচ্ছে, ম্যাকক্লোর-ইথামিন, ভিনক্রিসটিন (অনকোভিন) , প্রোকারবাজিন এবং প্রেডনিসোন। সংক্ষেপে মোপ (MOPP) বলে। এ থেরাপির উদ্দেশ্য ক্যান্সার কোষ গুলি ধ্বংশ করা।
দেহ কোষ বিভাজন চক্র:
স্বাভাবিক কোষের চেয়ে ক্যান্সার কোষ দ্রুতগতিতে বিভাজিত হয়।
মানব দেহের ক্যান্সার কোষ এবং স্বাভাবিক কোষ এর বিভাজন নিন্মের ৪টি পর্যায়ে সংগঠিত হয়।
১> গ্যাপ-১ বা মেটাবোলিক পর্যায়। ২> ডি এন এ সংশ্লেষন এর পূর্ব অবস্থায়। ৩> ডি এন এ সংশ্লেষন পর্যায়। ৪> মাইটোসিস বা কোষ বিভাজন পর্যায়।
ক্যামোথেরাপীর ড্রাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভাজিত ও বিশ্রামরত সকল কোষকেই ধ্বংশ করে।
কিছু ক্যামোথ্যারাপি এজেন্ট এর কোষ ধ্বংশকারি প্রক্রিয়া বর্ননা করা হলো:
নাইট্রোজেন মাষ্টার্ডস গ্র“প:
ম্যাকক্লোর-ইথামিন, সাইক্লোর-ফসফামাইড, মেলফালান, ক্লোরাম-বিউসিল প্রভৃতি ক্যামোথেরাপি এজেন্ট ,অতি উঁচু ক্রিয়াশীল কার্বোনিয়াম আয়ন (ফ্রী-রেডিক্যাল) তৈরি করে যা, কোষের ডি এন এ, (DNA) আর এন এ (RNA) ও অন্যান্য প্রোটিন পদার্থ কে ধ্বংশ করে এবং কোষের মৃত্যু ঘটায়।
এটি দেহের সকল কোষের উপর ক্রিয়াশীল হয়। ফলে স্বাভাবিক কোষের ও মৃত্যু হয় । দেহের অতি দ্রত বর্ধনশীল কোষ যেমন, পাকস্থলীর কোষ , মেরুমজ্জার কোষ এবং চুলের কোষ (ফলিকল) মারাত্মক ভাবে ধ্বংশ হয় এবং রক্ত স্বল্পতা ,চুলপড়া, পাকস্থলীর রক্তপাত প্রভৃতি পার্শ্ব প্রতিক্রীয়ায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।
এন্টি মেটাবোলাইটস গ্র“প:
MTX (Methotrexate) ম্যাথোট্রেক্সেট:
এটি একটি ‘ফলিক এসিড’ যা সংশ্লেষন এর মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত। এটি ডি-হাইড্রোফলিক রিডাকটেজ এনজাইম কে বাধা প্রদান করে। এই এনজাইম টেট্রা-হাইড্রোফোলেট তৈরি করতে প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। টেট্রা-হাইড্রোফলিক পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন কো-এনজাইম এ রুপান্তরিত হয় যা, পিউরিন, থাইমাইডাইলেট, ম্যাথিওনিন ও গ্লাইসিন সংশ্লেষন হতে সাহায্য করে।
DNA সংশ্লেষন এর জন্য ‘পিউরিন’ ও ‘থাইমাইডাইলেট'’ এর প্রয়োজন হয়। এর অভাবে কোষে এর প্রধান অঙ্গ DNA গঠিত পারে না। ফলে কোষ ধ্বংশ হয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : ক) সব ধরনের রক্ত শূন্যতা রোগ। খ) বমি,ডাইরিয়া। গ) আলসার। ঘ) হেপাটিক ডিসফাংশন, সিরোসিস ঙ) চর্মরোগ। চ) রেনাল ফেইল্যুর।
এটি হচ্ছে এক ধরনের শক্তিশালী আলোক কনিকা (গামা রে,এক্স -রে ) যা , ক্যানসার কোষের উপর প্রয়োগ করা হয়। এটি এত শক্তিশালী আলোক গুচ্ছ যার, তেজষ্ক্রিয়তায় কোষের মৃত্যু ঘটে।
দুটি উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে ‘রেডিওথেরাপী’ প্রয়োগ করা হয়।
১> ক্যানসার নিরাময় চিকিৎসা। (কিউরেটিভ ট্রিটমেন্ট):
এর উদ্দেশ্য ক্যানসার নিরাময় বা ক্যানসার ফিরে আসা ঠেকানো। ২> প্রশান্তি বা কষ্ট মুক্তি চিকিৎসা। (প্যালিয়েটিভ ট্রিটমেন্ট):
অনিরাময় যোগ্য ক্যান্সার রোগীকে উপসর্গ মুক্ত বা কষ্ট থেকে মুক্তি।
তিন প্রকৃতির রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
১> এক্সটারনাল-বীম রেডিয়েশন থেরাপি (বাহ্যিক তেজস্ক্রিয় আলোকগুচ্ছ প্রক্ষেপন):
তেজষ্ক্রিয় পদার্থ যেমন,কোবাল্ট এর তেজষ্ক্রিয় বিকিরন ঘনিভুত করে ক্যান্সার কোষের উপর নিক্ষেপ করা হয়। যার তীব্রতায় কোষের মৃত্যু ঘটে। চারিপাশের স্বাভাবিক কোষে ও এ বিকিরন আঘাত করে বলে এর দীর্ঘ মেয়াদী মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
২> ইন্টারনাল রেডিয়েশন থেরাপী (অভ্যন্তরীন তেজষ্ক্রিয় বিকিরন):
এক ধরনর তেজষ্ক্রিয় পদার্থ যেমন, তেজষ্ক্রিয় আয়োডিন বিশেষ ব্যবস্থায় দেহের অভ্যন্তরের টিউমারের নিকট এ স্থাপন করা হয়। এই তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শক্তিশালী বিকিরন ঘটে যা, কোষের মৃত্যু ঘটায়। দীর্ঘ দিন ধরে বিকিরন এর কারনে আশে পাশের স্বাভাবিক কোষ গুলিও বিকিরন দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যু ঘটে।
৩> সিস্টেমিক রেডিয়েশন থেরাপি (রক্ত স্রোতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্রেরন):
এটি মুখে চুষে বা ইনজেকশান এর মাধ্যমে রক্ত স্রোতে তেজষ্ক্রিয়তার প্রবেশ ঘটানো হয়। যেমন ,থাইরডের ক্যান্সার চিকিৎসায় ‘তেজষ্ক্রিয় আয়োডিন’ এবং এক ধরনের টিউমার বিধ্বংশী এন্টিবডি, তেজষ্ক্রিয় পদার্থের সাথে সংযুক্ত করে দেহে প্রবেশ করানো হয়। এক ধরনের ‘মনোকোণাল এন্টিবডি’ যা ক্যান্সার ইমিউন্যু থেরাপিতে ‘থেরাপিউটিক এন্টিবডি’
হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যে কোন ধরনের বিকিরন মানব কোষের DNA এর ক্ষতি করে। উচ্চ ক্ষমতা ও দীর্ঘ স্থায়ী বিকিরন DNA এর স্থায়ী ক্ষতি ঘটাতে পারে যা, বংশানুক্রমে এই ক্ষতি চলতে থাকে।
কারণ DNA মানব দেহের বংশানুক্রমের সব তথ্য ধারন করে। সুতরাং রেডিওথেরাপি ‘ক্যানসার’ চিকিৎসার নির্ভর যোগ্য কোন পদ্ধতি নয়।
মানব দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: দেহের নিজস্ব জীবানু বিনাশক ব্যবস্থা মূলতঃ দুটি যা, একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে।
১>
নন স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এটি সাধারন ভাবে জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ৩টি প্রধান স্তরে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে।
ক) দৈহিক প্রতিŸন্ধকতা : যেমন সম্পূর্ন চর্ম, শ্লেষার স্তর (মিউকাস)।
খ) জীবানু ভক্ষক কোষ যেমন, নিউট্রফিল, ম্যাক্রেফ্যাজ, ন্যাচারাল কিলার কোষ।
গ) প্রোটিন: যেমন, কমপ্লিমেন্ট, লাইসোজাইম, ইন্টারফেরন।
কিভাবে নন স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবানু ধ্বংশ করে। যখনেই দেহে কোন জীবানু প্রবেশ করে বা অভ্যন্তরিন জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয় (দেহ ক্যান্সার কোষকেও জীবানু হিসাবে সনাক্ত করে।) তখনেই দেহ প্রতিরক্ষা মূলক প্রদাহে (Inflammation) সাড়া দেয়। এ ধরনের সাড়ায় সাধারনত আক্রন্ত স্থানে লাল, ফুলে উঠা, গরম বোধ এবং ব্যাথার অনুভব হয়। আক্রান্ত স্থানে রক্তের অতিরিক্ত প্রবাহ ,প্রান্তিক রক্ত জালিকার ভেদ্যতা বৃদ্ধি এবং টিস্যুর মধ্যবর্তী স্থানে তরল পদার্থ ও শ্বেত কনিকার প্রবেশ। আক্রান্ত স্থানের প্রান্তিক রক্তনালিকার ভেদ্যতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে,আক্রান্ত কোষ গুলি হতে কিছু রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরন। এই রাসায়নিক পদার্থ গুলো হলো, হিস্টামিন, প্রোস্টাগ্লাইডিন ও লিউকোসাইড্রাইয়েনস। কোষগুলি ব্রাডিকিনিন নামে একটি প্রোটিন তৈরি করে যা, ব্যাথা তৈরি করে। প্রথম প্রদাহের সাড়াকে প্রদমিত করে কিডনির ‘এড্রেনালগ্ল্যান্ড’ হতে নিঃসৃত হরমোন ‘কর্টিকো-কয়েডস’। প্রদাহের শুরুতেই নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন, লিভার প্রস্থুত করে। এদের মধ্যে সি-রিয়েকটিভ প্রোটিন, ম্যানোজ বাইন্ডিং প্রোটিন, লিপো-পলিস্যাকারাইড বাইন্ডিং প্রোটিন। এই প্রোটিন গুলিকে সম্মিলিত ভাবে ‘একুইড ফেইজ প্রোটিন’ বলা হয়। এই প্রোটিন গুলো ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচিরের সাথে আটকে যায় এবং দেহের কমপ্লিমেন্ট (আরেক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা, ২০টি প্রোটিনের সম্বনয়ে তৈরি হয়।) ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে যাতে, ফ্যাগোসাইটোসিস (কোষের জীবানু হজম প্রক্রিয়া) সহজতর হয়। প্রদাহ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়া গুলো শ্বেতরক্ত কনিকা পলি-মরফো-নিউক্লিয়ার নিউট্রোফিলস (PMNs) ও ম্যাক্রোফ্যাজ দ্বারা আক্রান্ত হয়। শ্বেত রক্ত কনিকার ৬০% (PMNs) দ্বারা পূর্ন থাকে।
নিউট্রোফিলস এবং ম্যাক্রোফ্যাজ এর জীবানু ধ্বংশ করার প্রক্রিয়া ৩টি পর্যায়ে হয়।
মাইগ্রেশন: PMNs গুলো আক্রান্ত স্থানের দিকে ছুটে যায় এবং আক্রান্ত স্থানের ধমণীর গায়ে লেগে যায়। কিছু প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান , ইন্টারলিউকিন-১ এবং টিউমার ন্যাক্রোসিস ফ্যাক্টর (TNF) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে ; ম্যাক্রেফ্যাজ নিঃসরন করে থাকে। আক্রান্ত কোষ থেকে হিস্টামিন, কিনিন, প্রোষ্টাগ্লানডিনস প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং আক্রান্ত ধমনীর ভেদ্যতা বেড়ে যায় এবং PMNs
কে ধমনী অতিক্রম করে ব্যাকটেরিয়ার কাছে যেতে সাহায্য করে। PMNs এর এই আক্রমন কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটে।
ইনজেসসন
: PMNs দ্বারা গিলে ফেলার পর ব্যাকটেরিয়ার চর্তুদিক ঘিরে ফেলে ভ্যাকিউল তৈরি করে এটিকেই ফ্যাগোসোম বলে। এভাবে ব্যাকটেরিয়াকে গিলে ফেলার প্রক্রিয়াকে এন্টিবডি IgG সাহায্য করে। এন্টিবডি ইমিউ-গ্লোবিউলিন-জি IgG ব্যাকটেরিয়ার কোষ পর্দায় লেগে যায় এবং ফ্যাগোসাইটোসিস কে সহজ করে তোলে। এই প্রক্রিয়াকে অপসোনাইজেসন বলে। একই ভাবে কমপ্লিমেন্টও অপসোনাইজেসন কে সাহায্য করে। গিলে ফেলার সময় PMNs এর ভিতর মেটাবলিক প্রক্রিয়ায় দুটি ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংশী এজেন্ট তৈরি হয়। এদের একটি সুপার অক্সাইড রেডিক্যল অন্যটি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।
কিলিং পর্যায়: ফ্যাগোসোম এর ভিতর থাকা জীবনু নিধন দুটি পর্যায়ে সংগঠিত হয়। মেটাবলিক প্রক্রিয়ায় ক্লোরিন আয়ন এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বিক্রিয়ায় অতি সক্রিয় ‘হাইপো-ক্লোরাইড’ আয়ন তৈরি হয়। এটি শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংশী এজেন্ট । PMNs এর সাইটোপ্লাজমে থাকা দানাদার থলি গুলিকে লাইসোসোম বলে। এ থলি গুলি বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ধারন করে যা ফ্যাগোসোমকে ধ্বংশ করে। হাইপো-ক্লোরাইড আয়ন দানাদার থলি (লাইসোসোম) গুলিকে বিগলিত হতে সাহায্য করে।
জীবানু ধ্বংশে দেহ আরও দুটি কৌশল অবলম্বন করে। ১> অক্সিজেন নির্ভর ২> অক্সিজেন অনির্ভর
অক্সিজেন নির্ভর:
অক্সিজেন নির্ভর কৌশলে ম্যাক্রোফ্যাজ ও নিউট্রফিল (এক ধরনের শ্বেতরক্ত কনিকা) অতি উচ্চ ক্রিয়াশীল হাইপোক্লোরাইট আয়ন উৎপন্ন করে । এটি জীবানুর কোষ প্রাচীরকে নষ্ট করে দেয় ফলে জীবানুদের মৃত্যু ঘটে।
অক্সিজেন অনির্ভর:
অক্সিজেন অনির্ভর কৌশল এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া নিধনে কাজ করে। এই কৌশলে লেকটোফেরিন (নিউট্রোফিলস ও ম্যাক্রোফ্যাজ এর সাইটোপ্লাজমে থাকা ৮৫% দানাদার থলি যা, এ এনজাইম ধারন করে।) অংশগ্রহণ করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার আয়রন গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটে। লাইসোজাইম (ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর ‘পেটটাইডোগ্লাইকান ’ ভেঙ্গে ফেলে , যার কারনে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটে। এটি চগঘং এর সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত একটি এনজাইম।
২> স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থ:
নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দু ভাবে সংরক্ষিত হয়:
ক) সেল মেডিয়েটেড অর্থাৎ সরাসরি কোষের অংশগ্রহনের মাধ্যমে। যেমন টি-সেল
খ) এন্টিবডি মেডিয়েটেড অর্থাৎ প্রতিরক্ষা কোষের উৎপাদিত প্রোটিনের মাধ্যমে। যেমন,
বি-সেল।
সেল মেডিয়েটেড ইমিউন পদ্ধতি এবং এন্টিবডি মেডিয়েটেড ইমিউন পদ্ধতি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ভাবে জীবানুকে আক্রমন করে এবং ধ্বংশ করে।
ক)
টি-সেল মেডিয়েটেড ইমিউন সিস্টেম কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে করে:
উদাহরন; যখন যক্ষা জীবানু (মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস) দেহে প্রবেশ করে তখন দেহের শ্বেতরক্ত কনিকা (ম্যাক্রোফ্যাজ) যক্ষা জীবানুকে খেয়ে ফেলে। ব্যাকটেরিয়ার টুকরা অংশ এক ধরনের প্রোটিন এর সাথে সংযুক্ত হয়ে শ্বেত কনিকার পর্দায় লেগে থাকে। এটিকেই এন্টিজেন বলে। এই এন্টিজেন বিশেষ ধরনের টি-সেল (হেলপার টি সেল) এর রিস্পেটর এর সাথে সংযুক্ত হয় এবং হেলপার টি-সেল ‘ইন্টারলিউকিনস’ (এক ধরনের প্রোটিন) উৎপন্ন করে। এটি বিশেষ ধরনের একটি প্রোটিন যা, বি-সেল কে উত্তেজিত করে এবং নির্দিষ্ট জীবানু ধ্বংশের জন্য নির্দিষ্ট এন্টিবডি উৎপাদন করে ।
খ)
বি-সেল
(এন্টিবডি)
মেডিয়েটেড ইমিউন সিস্টেম কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে:
এন্টিবডি সংশ্লেষনের জন্য তিন ধরনের কোষের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এরা হলো ম্যাক্রোফ্যাজ, হেলপার টি সেল, বি-সেল। হেলপার টি-সেল ‘ইন্টারলিউকিনস’ (একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন) উৎপন্ন করে। ইন্টারলিউকিন-৫, বি-সেল কে সক্রিয় করে । সক্রিয় বি-সেল বিভাজিত হয় এবং বিশেষায়িত হয়ে প্লাজমা কোষ গঠন করে। এই প্লাজমা কোষ বৃহৎ পরিমানে ইমিউগ্লোবিউলিন (এন্টিবডি) এর নিঃসরন ঘটায়। কিছু এন্টিজেন যেমন, ব্যাকটেরিয়াল পলিস্যাকারাইড (কিছু ব্যাকটেরিয়া, ফ্যাগোসাইটোসিস থেকে আত্ম রক্ষার জন্য পলিস্যাকারাইডের আবরন তৈরি করে।) বি-সেল কে সরাসরি সক্রিয় করে এবং এন্টিবডির নিঃসরন ঘটায়। নির্দিষ্ট এন্টিবডি ,নির্দিষ্ট জীবানুকে ধ্বংশ করে।
ন্যাচারাল কিলার সেল (NK Cell) কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে: (NK Cell) দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরা ভাইরাস এবং টিউমার আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে। এরা দুটি সাইটোটক্সিন নিঃসরন করে। ‘পারফেরিন ও গ্রানজাইমেস’। এগুলি বিশেষ ধরনের প্রোটিন যা ভাইরাস আক্রান্ত কোষকে হত্যা করতে পারে। এই কোষ কোন ধরনের সাহায্য ছাড়াই এ কাজ করতে পারে। রক্তের শ্বেত কনিকার ৫-১০% এই ধরনের কোষ। এন্টিবডি (বি-সেল থেকে উৎপাদিত প্রোটিন), ইন্টারলিউকিন-১২ এবং গামা ইন্টারফেরন (টি-সেল থেকে উৎপাদিত এক ধরনের প্রোটিন) এদের কার্যকরীতাকে বৃদ্ধি করে।
No comments:
Post a Comment