ডায়বেটিক চিকিৎসায় “প্রাকৃতিক বিধান”’
ডক্টর শিবেন্দ্র কর্মকার
Doctorate & Ph.D in
Natural Medicine
ডায়বেটিস কি ধরনের রোগ ?
প্রথমে বুঝতে হবে ডায়বেটিস কি ধরনের রোগ। এটির প্রধান লক্ষন অতিরিক্ত প্রেস্রাব (পলিইউরিয়া) এবং পিপাসা ভাব (পলিডিপসিয়া ) , ক্ষুধা , এবং রক্তে অতিরিক্ত ‘গ-ুকোজের’ উপস্থিতি থাকে। এটিকে ‘হানি ইউরিন’ ও বলা হতো কারণ প্রেস্রাব এ চিনি (গ¬ুকোজ ) ছিল।
জার্মান বিজ্ঞানী ‘ পাল ল্যাংগারহ্যান্স ’(paul Langerhans) প্রথম বর্ননা করেন যে,
প্যানক্রিয়াস নামক একটি অংগ
এর কার্যক্রম নষ্ট হওয়ার কারনেই ডায়বেটিস হয়।
কিন্তু ডায়বেটিস নিয়ে আরো আধুনিক ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ ইনসুলিন ’
এর আবিষ্কার এর মাধ্যমে। ‘বানটিং’ এবং ‘বেষ্ট’ প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন পৃথক করতে সক্ষম হন। মূলত প্যানক্রিয়াসের
‘ বিটা কোষ ’ এই ইনসুলিন উৎপন্ন করে থাকে। আর ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ বা রক্তে এর কার্যকারীতা ব্যাহত (ই্নসুলিন রেজিস্ট্রান্স) হলেই দেহে ‘ ডায়বেটিস’ দেখা দেয়।
দেহে দুই ধরনের ডায়বেটিস হয়:
১/ ডায়বেটিস ইনসিপিডাস ।
২/ ডায়বেটিস মেলিটাস। এটি দুই ধরনের ; ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়বেটিস মেলিটাস অর্থাৎ ডায়বেটিস টাইপ-১। নন-ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়বেটিস মেলিটাস অর্থাৎ ডায়বেটিস টাইপ-২।
ডায়বেটিস ইনসিপিডাস:
মস্তিষ্কের ‘পিট্যুাইটারী গ¬্যান্ড’এর পিছনের অংশ হতে একটি প্রোটিন (হরমোন) নিঃসরন ঘটে । যেটিকে বলা হয় (ADH)- Anti-Diuretic Hormone. এর উপস্থিতে কিডনি ,পানি ও লবন শোষন নিয়ন্ত্রন করে। ADH নিঃসরন বন্ধ থাকলে ,কিডনি পানি ও লবন ধরে রাখতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত প্রেস্রাব হয়। আর এ ধরনের অতিরিক্ত প্রেস্রাব লক্ষন যুক্ত ডায়বেটিস হচ্ছে “ ডায়বেটিস ইনসিডিপাস’।
ডায়বেটিস মেলিটাস টাইপ-১:(ইনসুলিন নির্ভর ডায়বেটিস):
এ ধরনরে ডায়বেটিস এ খুব কম ইনসুলিন অথবা কোন ইনসুলিন এর নিঃসরন ঘটে না। কেবল মাত্র ইনসুলিন গ্রহনের মাধ্যমেই এ ধরনের ডায়বেটিস এর নিয়ন্ত্রন করতে হয়।
ডায়বেটিস মেলিটাস টাইপ-২:(ইনসুলিন অনির্ভর ডায়বেটিস)
এই ক্ষেত্রে ইনস্যুলিন নিঃসরন ঘটে , কিন্তু নিঃসরিত ইনস্যুলিন ব্যবহৃত হয় না বা কম ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ দেহে ইনস্যুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এটিকেই ‘ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স সিনড্রোম’ বা ‘ সিনড্রোম-এক্স’ বলে। ৭৫ শতাংশ স্থুল দেহে এ ধরনের ডায়বেটিস হয়। স্থুল দেহে চাহিদা মাফিক ইনস্যুলিন সরবরাহ হয় না বলে দেহে গ-ুকোজের কম
ব্যবহার হয়। টাইপ-২ ডায়বেটিস এ লক্ষন সমূহ সাধারনত প্রকাশ পায় না। রোগ সনাক্ত হওয়ার দেখা যায় যে, দেহ কোষ কলার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
এ ছাড়া আরো কিছু ধরনের ডায়বেটিস আছে তরুন ও শিশুদের হয় । প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল এক ধরনের জীবানু (মাম্পস ভাইরাস) আক্রমনে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। এ জীবানুদের হত্যা করার জন্য দেহ ‘এন্টিবডি’ (এক ধরনের প্রোটিন) তৈরি করে। কিন্তু এ এন্টিবডি জীবানুর পাশাপাশি বিটা সেল কে ও
ধ্বংশ করে। একেই অটো ইমিউন ডিজিজ বলে। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলা , এন্ডোক্রাইনাল গ¬্যান্ড এর অসুস্থতা , প্যাক্রিয়াসের রোগ এবং বংশগত ত্র“টির কারনেও ডায়বেটিস হতে পারে।
ডায়বেটিস নির্নয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা:
ওজিটিটি (OGTT) ওরাল গ¬ুকোজ টলারেন্স টেষ্ট। এ পদ্ধতিতে সম্পূর্ন উপোস অবস্থায় পেস্রাব এবং রক্ত সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট পরিমান গ¬ুকোজ (৭৫গ্রাম) খাওয়ানোর ২ ঘন্টা পর পুনরায় প্রেস্রাব ও রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে কি পরিমান গ¬ুকোজ রক্ত থেকে বেরিয়ে যায় তা জানা যায়।
Glucose tolerance diagnostic test
(for gestational diabetes)
|
||
75 g of glucose
|
Fasting
|
Less than 95 mg/dL or 5.3 mmol/L
|
1-hour
|
Less than 180 mg/dL or 10.0 mmol/L
|
2-hour:
|
Less than 153 mg/dL or 8.5 mmol/L
|
আর বি এস (RBS) :
রেনডম ব¬াড সুগার টেষ্ট। খাদ্য গ্রহণ করার পর
রক্তে গ¬ুকোজের স্বাভাবিক পরিমান নির্ণয় করা হয়।
এ ক্ষেত্রে ৮০-১৪০ মি:গ্রাম/ডেসিলি:স্বাভাবিক মাত্রা।
এফ বি এস (FBS): ফাষ্টিং ব¬াড সুগার। সম্পূর্ন উপোস অবস্থায় রক্তে গ¬ুকোজের স্বাভাবিক উপস্থিতি নির্ধারন করা হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৭০-১২৬ মি:গ্রাম/ডেসিলি: (৪-৭মিলি মোল)।
HbA1c: লাল রক্ত কনিকা ‘হিমোগে¬াবিন’ এর আবরন দ্বারা তৈরি। গে¬াকোজ , হিমোগে¬াবিন এর সাথে মিশে নতুন অনু তৈরি করে। রক্তে যত বেশি গ¬ুকোজ তত বেশি এই অনু তৈরি হয়। এটিকেই ‘গ¬াইকোসাইলেটেড হিমোগে¬াবিন’ বা HbA1c:
বলে। রক্তে স্বাভাবিক পরিমান ;৩.৫-৫.৫%।
ডায়বেটিকস মেলিটাস এর কারনে নিন্মের শারীরিক জটিলতা গুলো উলে¬খ করা হলো:
১/ অতিরিক্ত প্রেস্রাব এর সাথে গ¬ুকোজ ,লবন ও পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারনে দেহ দূর্বল হয়ে পড়ে। গ¬ুকোজ পুড়ে কোষ শক্তি তৈরি করে , গ¬ুকোজ এর অভাবে দেহ শক্তি তৈরি করতে পারে না। পানি ও লবন বেরিয়ে যাওয়ার কারনে দেহে পানি শূন্যতা , মাথা ঘোরা , বমি বমি ভাব দেখা দেয়। রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। পরিমান কমে যায়।
দেহে ইনস্যুলিন কিভাবে কাজ করে:
ইনস্যুলিন এক ধরনের প্রেটিনধমী হরমোন যা, প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে তৈরি হয়। ইনস্যুলিন এর রাসায়নিক সংকেত বিশে¬ষন করে জানা গেছে , এটি ৫১ টি এমাইনো এসিড ও সামান্য জিংকের গঠনে একটি প্রোটিন পদার্থ।
রক্তে
গ¬ুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক (৭০-১০০ মি:গ্রা/ডেসিলি) এর চেয়ে বেশি
পরিমানে উপস্থিত থাকলে বিটা সেল উত্তেজিত হয় এবং ইনস্যুলিন নিঃসরন শুরু করে। গ¬ুকোজ স্বাভাবিক থাকলে ইনস্যুলিন নিঃসরন হয় না। কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার ভেঙ্গে
গ-ুকোজে এ পরিণত হয়। সুতরাং অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেট (ভাত,আটা ,ময়দা , শাকশবজি , ফল , মূল
সমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তে গ¬ুকোজের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং ইনস্যুলিন ক্ষয় হয়। আর এ ভাবে ইনস্যুলিন ভান্ডার নিঃশেষ হয়ে এক সময় ডায়বেটিস রোগ হয়।
ইনস্যুলিন রক্ত স্রোতে বাহিত হয়ে দেহ কোষ পর্দার গ্রাহী (রিসেপ্টর) এর সাথে সংযুক্ত হয়। সকল মানব কোষে ইনস্যুলিন রিসেপ্টর আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি রিসেপ্টর থাকে লিভার , পেশি এবং চর্বি কোষে। সবচেয়ে কম থাকে মস্তিষ্ক , রক্ত
এবং যৌন কোষে।
ইনস্যুলিন এর প্রধান কাজ:
১/ ইনস্যুলিনের প্রধান কাজ হচ্ছে কোষের পুষ্টির নিয়ন্ত্রন করা। অর্থাৎ পুষ্টি গ্রহণ, ব্যবহার ও সঞ্চয়ে ভূমিকা রাখা।
২/ ইনস্যুলিন ; এমইনোএসিড , গ¬ুকোজ ও চর্বি হতে যথাক্রমে প্রোটিন, গ¬াইকোজেন ও চর্বি তৈরি করে।
৩/ ইনস্যুলিন ; প্রোটিন, গ¬াইকোজেন ও চর্বি ভাঙ্গা রোধ করে।
৪/ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইনস্যুলিন কোষের ভিতর গ¬ুকোজ ও আয়রন পরিবহন পদ্ধতিকে সক্রিয় করে।
৫/ কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রোটিন সংশে¬ষন শুরু করে।
৬/ কয়েক দিনের মধ্যে নতুন কোষ সৃষ্টি শুরু করে।
প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
1) নিন্ম রক্ত চাপের কারনে কিডনিতে ও মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।
২/ দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার কারনে ওজন কমে যায়।
৩/ ইনস্যুলিন এর অভাবে প্রোটিন সংশে¬ষন হতে পারে না এবং দেহ প্রোটিন ভেঙ্গে যায়, প্রোটিন এর অভাব দেখা দেয়। গ¬ুকোজ সমৃদ্ধ রক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রজননের জন্য ভাল মাধ্যম। ফলে দেহের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে মুত্রথলীর ক্ষত তেখা দেয়।
৪/ দেহের জমাকৃত চর্বি ভেঙ্গে রক্তে মিশে এবং রক্তে চর্বির পরিমান (ট্রাইগি¬সারাইড) বাড়িয়ে তোলে। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় । লিভারে চর্বির বিপাক ক্রিয়া চলে। অতিরিক্ত চর্বি বিপাকের কারনে অতিরিক্ত ‘কিটোনস বডি’ তৈরি হয়। এটি রক্তের এসিডিটি বাড়িয়ে তোলে। একেই ‘ কিটোএসিডোসিস’ বলে।
উপরিউক্ত জটিলতা গুলো যদি নিয়ন্ত্রন না হয় , তবে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ গুলো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়:
১/ চোখের রোগ: ডায়বেটিক জটিলতা নিয়ন্ত্রন না হলে ধীরে ধীরে চোখের আংশিক বা পুরো অন্ধত্ব দেখা দেয়।
২/ স্নায়ুর রোগ: স্নায়ু তন্ত্র আক্রান্ত হয়। অবসাদ , ব্যাথা , যৌন অক্ষমতা , পাকস্থলীর খাদ্য খালী হতে দেরী করা
এবং প্রেস্রাব করতে কষ্ট হওয়া।
৩/ পায়ের ক্ষত রোগ: পায়ের অংশের স্নায়বিক দুর্বলতা এবং রক্তনালীর সংর্কীনতার কারনে পায়ে ক্ষত হয়।
৪/ কিডনি রোগ: ২৫-৩০ শতাংশ ডায়বেটিক জটিলতায় কিডনি আক্রান্ত হয়। কিডনির ধমনী রক্তনালীতে চর্বির আস্তরন তৈরি হওয়ায় কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। ফলে নেফ্রন ( কিডনির ছাঁকনি যা অনেক ধরনের কোষ দিয়ে তৈরি) গুলো ধীরে ধীরে পুষ্টি ও অক্সিজেন এর অভাবে কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলে। ডায়বেটিক ও উচ্চ রক্তচাপে কিডনির ন্যফ্রন ধ্বংশ হয়।
৫/ ক্ষুদ্র রক্ত নালীর রোগ : ডায়বেটিক এর কারনে ক্ষুদ্র রক্ত সংবহন পথ (ক্ষুদ্র ধমনী ও শিরা পথ) চর্বি জমে সংকীর্ন হয়ে যায়। ফলে রক্ত প্রবাহে বিঘœ ঘটে। ফলে গ্যাংরিন হয়।
৬/ রক্তের প¬াজমা চর্বির রোগ:রক্তে এলডিএল বেড়ে যায় , এইছডিএল কমে যায়।
৭/ সংক্রমক রোগ: অতিরিক্ত গে¬াকোজ , রক্ত নালীর সংকীর্নতার কারনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে চর্ম , মুখ , যৌনাঙ্গে সংক্রমন দেখা দেয়।
(টাইপ-২) নন-ইনস্যুলিন ডায়বেটিসে ব্যবহৃত ‘ এ্যালোপ্যাথিক
ড্রাগ ’ সমূহ:
প্রচলিত
‘ এলোপ্যাথিক
’ চিকিৎসায় প্রধানত দুই প্রকৃতির ড্রাগ ব্যবহার হয়।
১/
হাইপোগ¬াইসেমিক এজেন্ট অর্থাৎ এ প্রকৃতির ড্রাগ গুলো দেহের ইনস্যুলিন নিঃসরন বৃদ্ধি করে। এ ধরনের ড্রাগ গুলো হলো ; গি¬মেপাইরাইড(Glemepiride ) গি¬কাজাইড (Gliclazide), গি¬বেনক্লামাইড (Glebenclamide)। এরা মূলত প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলের সাথে বন্ধন তৈরি করে এবং কার্যক্ষম
বিটা কোষের ইনস্যুলিন নিঃসরনকে উদ্দিপ্ত করে।
২/
এন্টি-হাইপারগ¬াইসেমিক এজেন্ট অর্থাৎ এ ধরনের ড্রাগ গুলো ইনস্যুলিন নিঃসরনে কোন কাজ করে না। এরা পেশির গে¬াকোজ গ্রহণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লিভারের গ¬কোজ উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। রক্তে উপস্থিত অব্যবহৃত ইনস্যুলিন এর ব্যবহার বৃদ্ধি করে। এ প্রকৃতির ড্রাগ হলো; মেটফরমিন (Metformin) ।
অন্যান্য কিছু ড্রাগ:
আলফা-গে¬াকোসাইডেজ ইনহিবিটর: এটি একটি অন্ত্রীয় এনজাইম , যেটি জটিল শর্করাকে সরল শর্করা (গে¬াকোজ) এ পরিণত করে। এ ধরনের
এনজাইম কে প্রতিরোধের মাধ্যমে দেহে গে¬াকোজ এর শোষন বন্ধ করে। এ ধরনের এনজাইম প্রতিরোধক ড্রাগ গুলো হলো; একারবোজ র্ (Acarbose), মিগলিটল (Miglitol), ভগলিবোস
(Voglibose)।
গি¬টাজোনস (Glitazones):: এ ধরনের কিছু ড্রাগ ইনস্যুলিন প্রতিরোধ কে কমিয়ে দয়। কোষের রিসেপ্টর ‘ পারঅক্সিজোম প্রোলাইফেরেশন এক্টিবেটর রিসেপ্টর -গামা ’ (PPAR-গামা) কোষের ইনস্যুলিন সক্রিয়কারী জিনকে উদ্দিপ্ত করার মাধ্যমে ‘গে-াকোজ’ ও ‘চর্বি ’ বিপাক প্রক্রিয়া কে পরিচালিত করে। যকৃতের গে¬াকোজ উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
এলোপ্যাথিক ড্রাগ সমূহের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
মাথা ঘোরা , বমি বমি ভাব , কোষ্ঠকাঠিন্য, আমবাত , চুলকানী , ভিটামিন ১২ ও ফোলেট এর মাল এবজরবশান , ডায়রিয়া , পেশিব্যাথা প্রভৃতি।
ইনস্যুলিন থেরাপী:
ইনস্যুলিন হলো এক ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ যা কিছু পতঙ্গ ব্যতিত সকল প্রানী নিজ দেহে তৈরি করে। মানুষের দেহের প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ এ ইনস্যুলিন তৈরি করে। মানব দেহে ইনস্যুলিন তৈরি কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে বেঁেচ থাকার জন্য বাহ্যিক ইনস্যুলিন নিতে হয়।
একেই ‘ইনস্যুলিন থেরাপী ’ বলে। পূর্বে গরু , ঘোড়া , শুকর , মাছের প্যানক্রিয়াস থেকে ইনস্যুলিন সংগ্রহ করা হতো। বর্তমানে জিন কৌশল (জেনেটিক্যাল ইনজিনিয়ারিং) ব্যবহার করে ‘হিউমেন ইনস্যুলিন’ তৈরি সম্ভব হয়েছে। হিউমেন ইনস্যুলিন ৫১ টি এমাইনোািেসড ও সামান্য জিংক এর মিশ্রনে তৈরি হয়।
Sample
regimen using insulin NPH and regular insulin
|
|||||||||||||
before
beforelunch breakfast
|
before
dinner
|
||||||||||||
NPH
dose
|
12
units
|
6
units
|
|||||||||||
regular
insulin dose if fingerstick
glucose is (mg/dl) [mmol/L]: |
|||||||||||||
70-100
[3.9-5.5]
|
4
units
|
4
units
|
|||||||||||
101-150
[5.6-8.3]
|
5
units
|
5
units
|
|||||||||||
151-200
[8.4-11.1]
|
6
units
|
6
units
|
|||||||||||
1201-250 [11.2-13.9]6.7]
|
7
units
|
1
unit
|
7
units
|
||||||||||
Amino Acid Sequence of
Insulin Preparations
|
|||||||
Amino
Acid Substitutions
|
|||||||
A-Chain
Position
|
B-Chain
Position
|
||||||
Source
Species |
A-8
|
A-10
|
A-21
|
B-28
|
B-29
|
B-30
|
B-31
B-32 |
Bovine
|
Ala
|
Val
|
Asn
|
Pro
|
Lys
|
Ala
|
N/A
|
Porcine
|
Thr
|
Ile
|
Asn
|
Pro
|
Lys
|
Ala
|
N/A
|
Human
|
Thr
|
Ile
|
Asn
|
Pro
|
Lys
|
Thr
|
N/A
|
Aspart (Novolog)
|
Thr
|
Ile
|
Asn
|
Asp
|
Lys
|
Thr
|
N/A
|
Lispro (Humalog)
|
Thr
|
Ile
|
Asn
|
Lys
|
Pro
|
Thr
|
N/A
|
Glulisine
(Apidra)
|
Thr
|
Ile
|
Asn
|
Pro
|
Glu
|
Thr
|
N/A
|
Glargine
(Lantus)
|
Thr
|
Ilc
|
Gly
|
Pro
|
Lys
|
Thr
|
Arg
|
Ala=Alanine Val=Valine
Asn=Asparagine Pro=Proline Lys=Lysine Thr=Threonine Ile=Isoleucine Glu=Glutamine Gly=Glycin
ডায়বেটিক প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ‘ প্রাকৃতিক প্রতিকার বিধান’:
আমরা জেনেছি ডায়বেটিক হচ্ছে , রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ‘গ¬ুকোজ’ এর উপস্থিতি। রক্তে স্বাভাবিক গ¬ুকোজের মাত্রা হচ্ছে;৭০-১০০মি:গ্রাম/ডেসিলি:।
আমরা আর ও জেনেছি যে, কার্বহাইড্রেট (ভাত , রুটি , শাকশবজি , ফলমূল) জাতীয় খাবার ভেঙ্গে গ¬ুকোজে পরিণত হয়। দেহের পরিপাক তন্ত্রে তৈরিকৃত গ¬ুকোজ রক্ত স্রোতে বাহিত হয়ে যকৃতে পৌঁছে। যকৃত গ¬ুকোজের একটি অংশ কে ‘গ¬াইকোজেন’ (Glycogen) এ
পরিনত করে । এটিই হচ্ছে যকৃতে সঞ্চিত গ¬ুকোজ। যার পরিমান ১২০ গ্রাম। লিভার থেকে গ¬ুকোজ রক্ত স্রোতে বাহিত হয়ে কোষে কোষে প্রবেশ করে। দেহ কোষে ব্যবহৃত হওয়ার পর অবশিষ্ট গ¬ুকোজ পেশিতে গ¬াইকোজেন রূপে সঞ্চিত হয়। পেশিতে নির্দিষ্ট পরিমান গ¬াইকোজেন রুপে গ¬ুকোজ (Glucose) সঞ্চিত হওয়ার পর অবশিষ্ট গ¬ুকোজ চর্বি রুপে উরু ও পেটে জমা হয়। এ ভাবে বাড়তি গ¬ুকোজ চর্বি রুপে দেহে সঞ্চিত হয়।
আমরা আর ও জেনেছি যে, কোষের ভিতর গ¬ুকোজ প্রবেশের পর ধারাবাহিক রাসায়নিক বিক্রিয়া (২৫ টি বিক্রিয়া) সংগঠিত হওয়ার পর প্রতি ১ মোল গ¬ুকোজ হতে ৩৮ টি এটিপি (এডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) তৈরি হয়। এই এটিপি হচ্ছে গ¬ুকোজের রাসায়নিক শক্তি। এই রাসায়নিক শক্তিই কোষের সব ধরনের কাজ পরিচালনার শক্তি যোগায়। আমরা যে দৈহিক শক্তি পাই এটি মূলতঃ কোষের এটিপি এর ব্যবহার। দেহ কোষ
প্রতিটি এটিপি কে ব্যবহার করে শক্তি +পানি + কার্বনডাইঅক্সাইড এ পরিনত করে । দেহে গ¬ুকোজ এর অভাব অথবা উপস্থিত গ¬ুকোজ ব্যবহৃত হতে না পারলে ,দেহ শক্তি উৎপাদন অক্ষুন্ন রাখার জন্য জমাকৃত চর্বি ও প্রোটিন কে গ¬ুকোজে এ পরিণত করে।
প্রথমে জমাকৃত চর্বি ভেঙ্গে রক্তে আসে এবং লিভারে সঞ্চিত হয়। লিভারে চর্বির বিপাক চলে এবং ‘কিটোন বডিস’ তৈরি হয়। অতিরিক্ত চর্বি লিভারে সঞ্চিত হয়ে ‘ ফ্যাটি লিভার’ এ পরিণত হয়। অতিরিক্ত চর্বি বিপাক হয়ে অতিরিক্ত ‘কিটোএসিডস ’ তৈরি হয়। এটি রক্তের এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই রোগের নাম ‘কিটেএসিডোসিস’। ডায়বেটিস রোগীরা কিটোএসিডোসিস এ আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেহ, শক্তির উৎস অক্ষ্ন্নু রাখার জন্য , দেহের সঞ্চিত প্রোটিন ভেঙ্গে ফেলে। এ পর্যায়ে ডায়বেটিস রোগীদের দেহ গঠন ভেঙ্গে পড়ে। আমরা জেনেছি যে, কোষের মধ্যে গ¬ুকোজ প্রবেশ করতে পারে না যদি না ‘ইনস্যুলিন ’ (এক ধরনের প্রোটিন যা প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে তৈরি হয়) এর উপস্থিতি না থাকে। ইনস্যুলিন কোষ মধ্যে গ¬ুকোজ প্রবেশ করতে সাহায্য করে। গ¬ুকোজ কোষ মধ্যে প্রবেশ না করতে পারলে , কোষের শক্তি উৎপাদন ব্যহত , গ¬াইকোজেন ও চর্বি উৎপাদন বন্ধ হওয়ার কারনে , রক্ত নালীতে গ¬ুকোজের পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাকে। রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি গ¬ুকোজ থাকার কারনে , রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়, মিষ্টি যুক্ত ও চটচটে হয়। মিষ্টি যুক্ত হওয়ার কারনে ‘ ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং সংক্রমন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ঘনত্ব বাড়ার কারনে এবং চর্বি জমে প্রান্তিক ধমনী ও শিরা জালীকা সংকীর্ন হওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ে রক্ত সরবরাহ ব্যহত হয়। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের কোষ কলা অক্সিজেন ও পুষ্টি হতে বঞ্চিত হয়ে ক্রমান্বয়ে অসুস্থ ও মৃত্যু বরন করে। এ ভাবে নির্দিষ্ট একটি অঙ্গের বেশি সংখ্যক কোষ এর যখন মৃত্যু হয় তখন উক্ত অঙ্গটির আংশিক বা পরোপুরি অকেজো হয়। এ ভাবে ডায়বেটিস রোগীর কিডনি , হার্ট , ব্রেইন , স্নায়ু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জটিল রোগ হয়।
ইনস্যুলিন কি ভাবে তৈরি হয় এবং কাজ করে:
প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ ইনস্যুলিন তৈরি করে। ইনস্যুলিন তৈরি করার জন্য বিটা কোষ কে স্বুস্ব্য থাকতে হয়। অর্থাৎ বিটা কোষের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন ও নির্ধারিত পুষ্টি (এমাইনো এসিড , ফ্যাটি এসিড , গ¬ুকোজ , ভিটামিন , মিনারেল , পানি )
সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কেবল মাত্র স্বুস্ব্য থাকা সাপেক্ষে প্রতিটি কোষ তার উপর অর্পিত নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে। বিটা কোষের নির্দিষ্ট দায়িত্ব হচ্ছে ‘ ইনস্যুলিন’ তৈরি করে রক্ত স্রোতে প্রেরন করা।
বিটা কোষের ক্রমোজমের নির্দিষ্ট ডিএনএ তে , ‘ইনস্যুলিন তৈরির ’ গোপন নির্দেশ সংরক্ষিত আছে। যখনেই ইনস্যুলিন তৈরির প্রয়োজন হয় তখনেই ডিএনএ ইনস্যুলিন তৈরির সংকেত প্রেরন করে। প্রেরিত সংকেত গূলো কোষের সাইটোপ¬াজমে অবস্থিত নির্দিষ্ট সংখ্যক এমাইনোএসিড (৫১ টি এমাইনো এসিড) কে একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে একত্রিত করে
এবং সামান্য জিংক এর সংযোগ ঘটিয়ে এক অনু ইনস্যুলিন তৈরি করে নিজ দেহেই সঞ্চিত করে। কিছু নির্দিষ্ট উদ্দিপনা বিটা কেষে সঞ্চিত ‘ইনস্যুলিন ’ নিঃসরন ঘটায়। প্রধান উদ্দিপনা হচ্ছে ‘গ¬ুকোজ’। এ ছাড়া এমাইনো এসিড , ফ্যাটিএসিড , স্নায়ুর উত্তেজনা ,দুশ্চিন্তা , কিছু হরমোন , কিছু ড্রাগ বিটা কোষের ইনস্যুলিন নিঃসরন ঘটায়।
বিটাসেল এর ইনস্যুলিন উৎপাদন নির্দেশকারী ডিএন এ নষ্ট বা ধ্বংশ হলে আর কোন দিনই ইনস্যুলিন উৎপাদন সম্ভব হয় না। আর এ ধরনের সমস্যা হলেই একে ইনস্যুলিন
ডিপেনডেন্ট ডায়বেটিস বা ডায়বেটিস টাইপ-১ বলে। মাত্র ৫% এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়।
যে সমস্ত কারনে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে:
১/ কোন কোন জীবানু (ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া) সংক্রমনে বিটা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২/ টক্সিন এর বিষ ক্রিয়ায় ডিএনএ নষ্ট হয়।
৩/ তেজষ্ক্রিয় ব্যবহারের কারনে ডিএনএ এর ক্ষতি হয়। যেমন; এক্স-রে , সটি স্ক্যান , পেট স্ক্যান , এনজিওগ্রাম , এম আর আই , রেডিও থেরাপী প্রভৃতি।
৪/ অতিরিক্ত সক্রিয়তার কারনে ডিএনএ নষ্ট হয়। যেমন; যত বেশি উদ্দিপনা (গ¬ুকোজ, এমাইনোএসিড , স্নায়বিক উত্তেজনা ) ততবেশী ইনস্যুলিন নিঃসরন ঘটাবে। এ ভাবে একটা পর্যায়ে বিটা সেল ইনস্যুলিন উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
অনেক সময় দেখা যায় ইনস্যুলিন , গ¬ুকোজ কে কোষ অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে না। রক্তে ইনস্যুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে ধারণা করা হয় কোষ প্রাচীরে অবস্থিত ইনস্যুলিন রিসেপ্টর গুলো অসক্রিয় থাকে। ইনস্যুলিন কোষ প্রাচীরে অবস্থিত রিসেপ্টর এর সাথে বন্ধন তৈরি করতে পারে না। ফলে ‘ ইনস্যুলিন ও গ¬ুকোজ ’ উভয়েই রক্তে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে। এ ধরনের সমস্যা কে ‘ ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স সিনড্রোম’ বা ‘সিনড্রোম-এক্স’ বলে। এটিই ‘ নন-ইনস্যুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়বেটিস বা ডায়বেটিস টাইপ-২ বলে।
ডায়বেটিস টাইপ-২ এর প্রতিকার:
১/ কার্বহাইড্রেট- ৫০- ১০০ গ্রাম
, প্রতিদিন। ( মোট ক্যালরির ৬০% )
(ভাত , রুটি , শাকশবজি , ফলমূল )
২/ প্রোটিন
৫০-৫৫ গ্রাম , প্রতিদিন । (মোট ক্যালরির ২০%)
(ছোট মাছ , ডিম , পাখির মাংশ)
৩/ চর্বি ৪৫-৫০ গ্রাম , প্রতিদিন । (মোট ক্যালরির ১৮-২০%)
(সয়াবিন তৈল , ওলিভ ওয়েল , তিলের তৈল , তিসির তৈল )
৪/ ভিটামিন ও মিনারেল । ( প্রতিদিনের চাহিদা)
৫/ নির্দিষ্ট পরিমান পানি । (২/৩ লিটার পানি)
৬/ ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা । প্রতিদিন ।
ডায়বেটিস টাটপ-১ এর প্রতিকার:
ডায়বেটিস টাইপ-২ এর অনুরূপ । শুধু প্রতিদিন নির্দিষ্ট ইউনিট ইনস্যুলিন নিতে হবে।
এডাপটো-মেডিসিন এর ডোজ: (৩- ৬মাস)
১/ মাশরুম ৩ গ্রাম
( ১২টি আরজি , জিএল )।
২/ স্পাইরুলিনা
৫ গ্রাম
( ১৮-২৪ টি টেবলেট)।
৩/ ননি ৩০ এম এল
(৬ টেবিল চামচ)।
৪/ কর্ডিসেপ
৬ টি ট্যাবলেট।
যে সমস্ত খাদ্য খাওয়া যাবে না:
১/ অতিরিক্ত তৈল , চর্বি ও প্রোটিন।
২/ ভাজা পোড়া খাবার। অতিরিক্ত রান্না করা খাবার।
৩/ অতিরিক্ত গ¬ুকোজ সমৃদ্ধ খাবার।
৪/ ধুমপান , এলকোহল , বাসী খাবার।
৫/ প্রয়োজন ছাড়া ড্রাগ।
গ¬ুকোজর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ‘ কার্বহাইড্রেট ’ এর দৈনিক পরিমান প্রদান করা হলো:
Circumstance
|
Carbohydrate
Requirement1
|
Grams
for an athlete with 160 lbs. LBM
|
Physiological Requirement
|
0
g/day
|
0
g/day
|
PracticalMinimum to Avoid Muscle
Breakdown2
|
50
g/day
|
50
g/day
|
Practical Minimum for Individuals
Who Function Poorly In Ketosis3
|
100-120
g/day
|
100-120
g/day
|
Additional Amount to Sustain Low
Intensity Exercise
|
Minimal
approaching zero
|
Minimal
approaching zero
|
Additional Amount Needed to
Sustain Weight Training
|
5
g carbs. per 2 work sets4
|
5
g carbs. per 2 work sets4
|
Average Recommendations in
Bodybuilding Nutrition
|
1-3
g/lb.
|
160-480
g/day
|
Average Recommendations by
Mainstream Nutritionists
|
2-3
g/lb
|
320-480
g/day
|
Average Intake for Endurance
Athletes
|
2
g/lb
|
320
g/day
|
Recommended Intake for Endurance
Athletes
|
3-4.5
g/lb
|
480-720
g/day
|
Practical Maximum for Non-Carb
Loading Individuals
|
4
g/lb
|
640
g/day
|
Maximal Intakes for Carb-Loading
|
~7
g/lb
|
1120
g/day
|
Glycemic index and glycemic load for 100+
foods
Glycemic index and glycemic load
offer information about how foods affect blood sugar and insulin. The lower a
food's glycemic index or glycemic load, the less it affects blood sugar and
insulin levels. Here you'll find a list of the glycemic index and glycemic load
for more than 100 common foods.
FOOD
|
Glycemic index (glucose = 100)
|
Serving size (grams)
|
Glycemic load per serving
|
BAKERY PRODUCTS AND BREADS
|
|||
Banana cake, made with sugar
|
47
|
60
|
14
|
Banana cake, made without sugar
|
55
|
60
|
12
|
Sponge cake, plain
|
46
|
63
|
17
|
Vanilla cake made from packet mix
with vanilla frosting (Betty Crocker)
|
42
|
111
|
24
|
Apple, made with sugar
|
44
|
60
|
13
|
Apple, made without sugar
|
48
|
60
|
9
|
Waffles, Aunt Jemima (Quaker Oats)
|
76
|
35
|
10
|
Bagel, white, frozen
|
72
|
70
|
25
|
Baguette, white, plain
|
95
|
30
|
15
|
Coarse barley bread, 75-80%
kernels, average
|
34
|
30
|
7
|
Hamburger bun
|
61
|
30
|
9
|
Kaiser roll
|
73
|
30
|
12
|
Pumpernickel bread
|
56
|
30
|
7
|
50% cracked wheat kernel bread
|
58
|
30
|
12
|
White wheat flour bread
|
71
|
30
|
10
|
Wonder™ bread, average
|
73
|
30
|
10
|
Whole wheat bread, average
|
71
|
30
|
9
|
100% Whole Grain™ bread (Natural
Ovens)
|
51
|
30
|
7
|
Pita bread, white
|
68
|
30
|
10
|
Corn tortilla
|
52
|
50
|
12
|
Wheat tortilla
|
30
|
50
|
8
|
BEVERAGES
|
|||
Coca Cola®, average
|
63
|
250 mL
|
16
|
Fanta®, orange soft drink
|
68
|
250 mL
|
23
|
Lucozade®, original (sparkling
glucose drink)
|
95±10
|
250 mL
|
40
|
Apple juice, unsweetened, average
|
44
|
250 mL
|
30
|
Cranberry juice cocktail (Ocean
Spray®)
|
68
|
250 mL
|
24
|
Gatorade
|
78
|
250 mL
|
12
|
Orange juice, unsweetened
|
50
|
250 mL
|
12
|
Tomato juice, canned
|
38
|
250 mL
|
4
|
BREAKFAST CEREALS AND RELATED PRODUCTS
|
|||
All-Bran™, average
|
55
|
30
|
12
|
Coco Pops™, average
|
77
|
30
|
20
|
Cornflakes™, average
|
93
|
30
|
23
|
Cream of Wheat™ (Nabisco)
|
66
|
250
|
17
|
Cream of Wheat™, Instant (Nabisco)
|
74
|
250
|
22
|
Grapenuts™, average
|
75
|
30
|
16
|
Muesli, average
|
66
|
30
|
16
|
Oatmeal, average
|
55
|
250
|
13
|
Instant oatmeal, average
|
83
|
250
|
30
|
Puffed wheat, average
|
80
|
30
|
17
|
Raisin Bran™ (Kellogg's)
|
61
|
30
|
12
|
Special K™ (Kellogg's)
|
69
|
30
|
14
|
GRAINS
|
|||
Pearled barley, average
|
28
|
150
|
12
|
Sweet corn on the cob, average
|
60
|
150
|
20
|
Couscous, average
|
65
|
150
|
9
|
Quinoa
|
53
|
150
|
13
|
White rice, average
|
89
|
150
|
43
|
Quick cooking white basmati
|
67
|
150
|
28
|
Brown rice, average
|
50
|
150
|
16
|
Converted, white rice (Uncle
Ben's®)
|
38
|
150
|
14
|
Whole wheat kernels, average
|
30
|
50
|
11
|
Bulgur, average
|
48
|
150
|
12
|
COOKIES AND CRACKERS
|
|||
Graham crackers
|
74
|
25
|
14
|
Vanilla wafers
|
77
|
25
|
14
|
Shortbread
|
64
|
25
|
10
|
Rice cakes, average
|
82
|
25
|
17
|
Rye crisps, average
|
64
|
25
|
11
|
Soda crackers
|
74
|
25
|
12
|
DAIRY PRODUCTS AND ALTERNATIVES
|
|||
Ice cream, regular
|
57
|
50
|
6
|
Ice cream, premium
|
38
|
50
|
3
|
Milk, full fat
|
41
|
250mL
|
5
|
Milk, skim
|
32
|
250 mL
|
4
|
Reduced-fat yogurt with fruit,
average
|
33
|
200
|
11
|
FRUITS
|
|||
Apple, average
|
39
|
120
|
6
|
Banana, ripe
|
62
|
120
|
16
|
Dates, dried
|
42
|
60
|
18
|
Grapefruit
|
25
|
120
|
3
|
Grapes, average
|
59
|
120
|
11
|
Orange, average
|
40
|
120
|
4
|
Peach, average
|
42
|
120
|
5
|
Peach, canned in light syrup
|
40
|
120
|
5
|
Pear, average
|
38
|
120
|
4
|
Pear, canned in pear juice
|
43
|
120
|
5
|
Prunes, pitted
|
29
|
60
|
10
|
Raisins
|
64
|
60
|
28
|
Watermelon
|
72
|
120
|
4
|
BEANS AND NUTS
|
|||
Baked beans, average
|
40
|
150
|
6
|
Blackeye peas, average
|
33
|
150
|
10
|
Black beans
|
30
|
150
|
7
|
Chickpeas, average
|
10
|
150
|
3
|
Chickpeas, canned in brine
|
38
|
150
|
9
|
Navy beans, average
|
31
|
150
|
9
|
Kidney beans, average
|
29
|
150
|
7
|
Lentils, average
|
29
|
150
|
5
|
Soy beans, average
|
15
|
150
|
1
|
Cashews, salted
|
27
|
50
|
3
|
Peanuts, average
|
7
|
50
|
0
|
PASTA and NOODLES
|
|||
Fettucini, average
|
32
|
180
|
15
|
Macaroni, average
|
47
|
180
|
23
|
Macaroni and Cheese (Kraft)
|
64
|
180
|
32
|
Spaghetti, white, boiled, average
|
46
|
180
|
22
|
Spaghetti, white, boiled 20 min,
average
|
58
|
180
|
26
|
Spaghetti, wholemeal, boiled,
average
|
42
|
180
|
17
|
SNACK FOODS
|
|||
Corn chips, plain, salted, average
|
42
|
50
|
11
|
Fruit Roll-Ups®
|
99
|
30
|
24
|
M & M's®, peanut
|
33
|
30
|
6
|
Microwave popcorn, plain, average
|
55
|
20
|
6
|
Potato chips, average
|
51
|
50
|
12
|
Pretzels, oven-baked
|
83
|
30
|
16
|
Snickers Bar®
|
51
|
60
|
18
|
VEGETABLES
|
|||
Green peas, average
|
51
|
80
|
4
|
Carrots, average
|
35
|
80
|
2
|
Parsnips
|
52
|
80
|
4
|
Baked russet potato, average
|
111
|
150
|
33
|
Boiled white potato, average
|
82
|
150
|
21
|
Instant mashed potato, average
|
87
|
150
|
17
|
Sweet potato, average
|
70
|
150
|
22
|
Yam, average
|
54
|
150
|
20
|
MISCELLANEOUS
|
|||
Hummus (chickpea salad dip)
|
6
|
30
|
0
|
Chicken nuggets, frozen, reheated
in microwave oven 5 min
|
46
|
100
|
7
|
Pizza, plain baked dough, served
with parmesan cheese and tomato sauce
|
80
|
100
|
22
|
Pizza, Super Supreme (Pizza Hut)
|
36
|
100
|
9
|
Honey, average
|
61
|
25
|
12
|
An earlier version of this table
appeared here: "International
tables of glycemic index and glycemic load values: 2002," by Kaye
Foster-Powell, Susanna H.A. Holt, and Janette C. Brand-Miller in the July
2002 American Journal of Clinical Nutrition, Vol. 62, pages 5–56.
এ্যাডাপটোমেডিসিন কি ভাবে কাজ করে:
এ্যাডাপটো-মেডিসিন মূলতঃ দেহ কোষের মধ্যে কাজ করে। একটি দেহ কোষ এর বাহিরের কাঠামো বিশে¬ষন করে দেখা গেছে যে , এটি লিপিড, প্রোটিন ও লিপিড এর সমন্বয়ে তিন স্তর বিশিষ্ট একটি পর্দা কোষের ভিতরের অঙ্গানুগুলো ও লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
কোষের ভিতরের রাসায়নিক পদার্থ গুলো বিশে¬ষন করে দেখা গেছে , এগুলো গ¬ুকোজ, এ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিডের ,ভিটামিন, মিনারেল ও পানির সমাবেশ ছাড়া অন্য কিছু নয়। আবার উলে¬খিত প্রতিটি যৌগ কে বিশে¬ষন করলে সোডিয়াম (Na, পটাসিয়াম
(K),হাইড্রোজেন
(H),অক্সিজেন
(O),ফসফরাস
(চ),আয়োডিন
(I), ক্লোরিন
(Cl),নাইট্রোজেন
(N), ক্যালসিয়াম (Ca),সহ ডজন খানিক মৌলিক পদার্থ। কোষের লক্ষ লক্ষ জৈব রাসায়নিক কাজের সবটায় সম্পাদিত হয়, এ সমস্ত উপাদান গুলির সমন্বয়ে। যেমন, প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ গুলো ‘ ‘ইনস্যুলিন ’ উৎপাদন করে । এই কোষ গুলো কোষ বহিস্থঃ ‘
ইন্টারস্টিশিয়াল স্পেস ’ হতে ‘এমাইনোএসিড ’ এবং ‘ জিংক ’ গ্রহণ করে কোষ এর সাইটোপ¬াজমে নিয়ে আসে। বিটাসেলে সংরক্ষিত ‘ডিএনএ’ (ইনস্যুলিন তৈরির গোপন সংকেত) এর নির্দেশে নির্দিষ্ট এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক (৫১টি) এমাইনোএসিড নির্দিষ্ট ছাঁচে (টেম্পপে¬ট) একত্রিত হয়। অন্য একটি ‘ডিএনএ’ এর নির্দেশে এক অনু জিংক এর সাথে যুক্ত হয়। প্রয়োজনের মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ডে এর মধ্যে ‘বিটাসেল’ এক অনু ইনস্যুলিন সংশে¬ষন করতে পারে।
এ্যাডাপটো-মেডিসিন কোষের দৈহিক স্বাস্ব্য এবং জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ কারী সকল উপাদান সঠিক ভাবে সরবরাহ করে।
কোষ দুই কারনে কার্যকারীতা হারাতে পারে।
১। নানা আঘাতে , বা জীবানুর আক্রমনে, বা অতি কার্য ¯ম্পাদনের কারনে বা রাসায়নিক বিষের কারনে কোষ দেহ ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
২। নির্ধারিত উৎসেসক যেমন, এনজাইম, এন্টিবডি, হরমোন তৈরির ্উপকরন সরবরাহে ব্যতায় ঘটলে। যেমন , ইনসুলিন তৈরির উপকরন, ৫১টি এ্যমাইনো এসিড ও জিংক।