StemCell Nutrition Consultant

StemCell Nutrition Consultant
Showing posts with label Healthy with stem cell nutrition. Show all posts
Showing posts with label Healthy with stem cell nutrition. Show all posts

Sunday, November 9, 2014



রোগ নিরাময় সুস্ব্য জীবনের জন্য :
স্টেম সেল নিউট্রিশান থেরাপী


 Dr.Shebendra karmakar 
 Doctorate & Ph.D in Natural Medicine,USA
 
স্টেম সেল কি?
স্টেম সেল হচ্ছে দেহের বিশেষ ধরনের কোষ যা মেরু মজ্জা (Bone Marrow)ি সহ দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সুপ্ত অবস্থায় ভ্রুনের জন্ম থেকে অবস্থান নেয় কোষের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে,  এটি দেহের যে কোন অঙ্গের কোষে পরিনত হতে পারে যেমন একটি স্টেম সেল চর্মে পৌঁছে চর্ম গগঠন কওে আবার হৃদপিন্ডে গিয়ে হৃদপেশি  তৈরি করেএটা অনেকটা ইটের মত যেমন একটি ইট ইমারতের দরজা,জানালা,মেঝ,সহ সর্বত্র ব্যবহৃত হয় স্টেম সেল হচ্ছে দেহের ইট দেহের সর্বত্র পরিগঠনে এটি ব্যবহৃত হয়

 স্টেম সেল দুধরনের  হয়
) এমব্রায়োনিক স্টেম সেল: এটি ভ্রুনের ভিতরের দিকের  কোষ স্তর যেটি থেকে মূলত: ভ্রুনের ভিতর বাহিরের অঙ্গগুলোর আকৃতি লাভ করে মানুষের এমব্রায়োনিক কোষের আয়তন . মাইক্রোন (১মাইক্রোন ১মিটারের ১০লক্ষ ভাগের ১ভাগ) এমব্রায়োনিক স্টেম সেল কে বলা হয় প্লুরিপট্ন্টে (pluripotent)  স্টেম সেল এটি একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থঅনেক ক্ষমতাপন্ন এই ধরনের কোষ হতেকোষের প্রাথমিক তিন স্তর(Three Germ Layer)  তৈরি হয়

) এন্ডোডার্ম (Endodrm):  কোষের এই স্তর হতে পাকস্থলীর ভিতরের আবরনী স্তর , পরিপাক , অন্ত্রনালী ফুসফুস তৈরি হায়
) মেসোডার্ম (Mesoderm): পেশি ,হাড়, রক্ত জননতন্ত্র তৈরি হয়
) এক্টোডার্ম (Ectoderm): চর্মের বহিঃস্তর এবং স্নায়ুতন্ত্র তৈরি হয়

প্লুরিপটেন্ট কোষ থেকে ২২০ ধরনের দেহ কোষ তৈরি হয় প্লুরিপটেন্ট কোষের এই ক্ষমতার জন্য এটি এখন  বিভিন্ন  জটিল রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হচ্ছে এই পদ্ধতির এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাকে বলা হয় স্টেম সেল থেরাপী

স্টেম সেল থেরাপী হচ্ছে জটিল রোগ নিরাময়ের একটি আধুনিক চিকিৎসা চিকিৎসা বিজ্ঞান দাবী করছে যে, স্টেম সেল পুনরজাগরন (Regeneration) এবং Culture  এর মাধ্যমে দেহের যে কোন অঙ্গের পুনরগঠন, পুনরস্থাপন এবং মেরামত করা সম্ভব এই প্রক্রিয়া এখনো পরীক্ষাধীন তবে কিছু কিছু জটিল রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কম সফিল্য লক্ষ্য করা গেছে এবং এই পদ্ধতির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয় বহুল ঝুঁকিপূর্ন অপর পক্ষে স্টেম সেল নিউট্রিশান থেরাপী সম্পূর্ন নিরাপদ বিষয়ে আলাদা ভাবে  আলোচন করা হবে

) এডাল্ট স্টেম সেল (Adult Stem Cell):   ধরনের স্টেম সেল দেহের সর্বত্র পাওয়া যায় এবং কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় এরা বৃদ্ধি পায় এরা মৃত কোষের স্থান পূরন করে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে নতনু কোষ তৈরিতে সাড়া জাগায় এডাল্ট স্টেম সেল এর অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বিভাজন বা নিজস্ব নবায়ন ক্ষমতা রয়েছে এরা সকল ধরনের দেহ কোষ কে নতুন কোষ তৈরিতে সাড়া জাগায়

প্রত্যেক স্টেম সেল সাধারন দুটি বৈশিষ্ট্য ধারন করে
) কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় অনবরত নিজস্ব নবায়ন  করতে  সক্ষম
) সব ধরনের দেহ কোষের ,ক্ষতিগ্রস্ত কোষের নবায়ন এবং মৃত কোষের স্থান পূরন এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য

বিভিন্ন ধরনেরস্টেম সেলএর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
হেমাটোপোয়েটিক স্টেম সেল: এটি মেরুমজ্জায় থাকে এবং সব ধরনের রক্ত কোষ কোষ থেকেই তৈরি হয়
ম্যামারী স্টেম সেল: ম্যামারী গ্ল্যান্ড (দুগ্ধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি ) এর বৃদ্ধি ঘটায় বিশেষ করে বয়সন্ধি প্রসূতী অবস্থায়
ইনটেসটাইনাল স্টেম সেল: এটি সাড়া জীবন ব্যাপী অনরবরত বিভাজিত হয় একটি  জটিল জেনেটিক প্রোগ্রাম ক্ষুদ্রান্ত বৃহদান্তের আবরনী কোষ স্তর উৎপন্ন করে
এন্ডোথেলিয়াম স্টেম সেল: এই ধরনের কোষ বোন ম্যারোতে পাওয়া যায় রক্ত নালীর ভিতরের স্তর এই কোষ দিয়ে তৈরি হয়
নিউরাল স্টেম সেল: মস্তিস্কের বিশেষ দুটি স্থান ব্যতিত অন্যান্য স্থানে নতুন নিউরাল সেল উৎপন্ন হয় একটি সাবভেন্টিকুলার জোনঅপরটিডেনটেন্ট জাইরাস
মেসেনসাইমাল স্টেম সেলঃ এই স্টেম সেল মেরুমজ্জার স্ট্রোমাল সেল থেকে উদ্ভুত হয় এই কোষ অমরা (প্লাসেন্টা) চর্বি কোষ (এডিপোসাইট) ,ফুসফুস,মেরুমজ্জা (বোনম্যারো) এবং রক্ত কনিকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ডেন্টাল পাল্প,পেরিডেন্টাল লিগামেন্ট,আমবিলিক্যাল কর্ড এর কোষ হচ্ছেমেসেন সাইমাল স্টেম সেল
অলফ্যাক্টরী স্টেম সেলঃ  নাকের ভিতরের স্তরের কোষ স্তরঅলফ্যাক্টরী স্টেম সেলদিয়ে তৈরিএই কোষ গন্ধ নেয়ার কাজ করে
টেষ্টিকিউলার স্টেম সেলঃ এই স্টেম সেল হতে পুঃজনন কোষ তৈরি হয়
নিউরাল ক্রেষ্ট স্টেম সেলঃ চুলের ফলিকল দুই ধরনের স্টেম সেল ধারন করে এই সেল নিউরন,স্কিন সেল, মাইওফাইব্রোব্লাস্ট,কনড্রোসাইট এবং ম্যালানোসাইট কোষের জেনারেইট করে

স্টেম সেল এর জীবন প্রক্রিয়া জেনিটিক্যাল ডিজিজ:
প্রত্যেক স্টেম সেলমাইটোসিস (দেহ কোষ বিভাজন) প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় এবং নতুন পুর্নাঙ্গ কোষ সৃষ্টি করে স্টেম সেল এর এই বিভাজন ক্ষমতা অনির্দিষ্ট কাল ধরে চলে ফলে মৃত্যুর পুবর্  পর্যন্ত দেহের পুনরগঠন প্রক্রিয়া অব্যহত থাকে ত্রটিপূর্ন বিভাজনের ফলে কোষ  দেহে যে রোগের সৃষ্টি হয়, এটিকেই  জেনিটিক্যাল ডিজিজবলে অথবা অন্য কারনে ,রেডিয়েশান, স্টেরেয়েড ড্রাগ, ক্যামোথ্যারাপী, টক্সিন, ডায়াগনোসষ্টিক এজেন্ট) কোষ দেহেরজেনিটিক্যাল কোড ((DNA) এর কোন পরিবর্তন  হলেওজেনিটিক্যাল ডিজিজহতে পারে

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান স্টেম সেল থেরাপী এর মাধ্যমে এই রোগের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছে বাস্তবিক পক্ষে  আধুনিক চিকিৎসায় এর  সমাধান সম্ভব নয়

স্টেম সেলের পুষ্টি (খাদ্য) গ্রহন বিপাক প্রক্রিয়া:

এমাইনো এসিড:
 এটি একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা উদ্ভিদ দেহে সংশ্লেষিত হয় প্রানী উদ্ভিদ ভক্ষন এর মাধ্যমে নিজ দেহে এটি পেয়ে থাকে মানুষ প্রানী উদ্ভিদ ভক্ষন এর মাধ্যমে এটি নিজ দেহে গ্রহন করে থাকে মানুষের পরিপাক তন্ত্র উদ্ভিজ প্রানীজ খাবার বিশ্লেষন করে এমাইনো এসিড পৃথক করে এবং পরিপাক তন্ত্র হতে লিভার প্রেরন করে এমাইনো এসিডের একটি অংশ লিভারে বিপাক হয় এবং এ্যমোনিয়া, ইউরিয়া, নাইট্রোজেন তৈরি হয় অন্য একটি অংশ সরাসরি রক্ত স্রোতে প্রবাহিত হয় রক্ত স্রোতের এমাইনো এসিড দেহ কোষের প্রয়োজনীয় প্রোটিন  তৈরিতে ব্যবহৃত হয় দেহ কোষ এমাইনো এসিড ব্যবহার করে হাজার হাজার এনজাইম, লক্ষাধিক প্রোটিন,অর্ধশতাধিক হরমোন , বিলিয়ন বিলিয়ন এন্টিবডি তৈরি করে যেমন এলবুমিন অনু তৈরির জন্য লিভার কোষ ৬১০টি এমাইনো এসিড ব্যবহার করে ইনস্যুলিন অনু তৈরির জন্য বিটাসেল ৫১ টি এমাইনো এসিড ব্যবহার করে হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য বোন ম্যারো টিস্যুর প্রযোজন হয় ২৮৭ টি এমাইনো এসিড প্রানী দেহ গঠনের প্রধান জৈব রাসায়নিক উপাদান হচ্ছেএমাইনো এসিড

প্রতিদিন একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের প্রোটিন এর চাহিদা ১ কেজি ওজনের জন্য গ্রাম অনুমোদিত প্রানীজ প্রোটিন এর পরিমান ৩০ গ্রাম

এমাইনো এসিড এর সর্বশেষ পরিনতি হচ্ছে সালফিউরিক এসিড এবং ফসফরিক এসিড যা কিডনি দিয়ে  নিষ্কাষিত হয় এটি এত শক্তিশালী এসিড যে, রক্ত জালিকা জ্বালিয়ে দিতে পারে কিডনি ছাঁকনি যন্ত্র (নেফ্রন) এর রক্তজালিকা কারনে নষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে কিডনি অকেজো হয় অতিরিক্ত প্রোটিন দেহের জন্য ক্ষতিকর দেহের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় এই দুটি এসিড দুর্বল এসিডে পরিনত হয় বলেই আমরা প্রতি মুহূর্তে বেঁেচ যাই কারন দেহের প্রতিটি কোষ সুস্ব্য থাকেহালকা ক্ষারীয় লেবেলে

গ্লুকোজঃ
এটি একটি জৈব রাসায়নিক উপাদান যা উদ্ভিদ দেহে প্রস্তুত হয় উদ্ভিদ সালোক সংশ্লেষন প্রাক্রিয়ায় (পানি ,আলো কার্বনডাইঅক্সাইড এর সাহায্যে) এটি তৈরি করে এই  গ্লুকোজমূলত: কার্বহাইড্রেট বা শর্করার একমাত্র উপাদান প্রাণী দেহে যে গ্লুকোজ পাওয়া যায় তা উদ্ভিদ ভক্ষন এর মাধ্যমেই আসে

মানুষের পরিপাক তন্ত্র উদ্ভিদজ প্রানীজ খাবার কে বিশ্লেষন করে গ্লুকোজ পৃথক করে এই গ্লুকোজ অন্ত্র হতে পোর্টাল ভেইন এর মাধ্যমেলিভারেপৌঁছে গ্লুকোজ কে নিয়ে লিভারে বহু কার্য সম্পাদন হয় লিভার গ্লুকোজ এর একটি অংশ নিয়ে বিপাক প্রক্রিয়া চালায় অন্য একটি অংশ মূল রক্ত স্রোতে পরিচালিত হয় রক্ত স্রোত থেকে দেহের  প্রতিটি কোষ গ্লুকোজ গ্রহন করেক্র্যাব সাইকেল(Kreb’s Cycle) সম্পন্ন করে ক্র্যাব সাইকেলের সর্বশেষ ধাপে রাসায়নিক শক্তি(ATP),পানি, কার্বন ডাইঅক্সাইড উপন্ন করে আনবিক ওজন  (C6H12O6) (গ্লুকোজ’= ১ মোল=১৮০গ্রাম)  গ্লুকোজহতে ৩৮ টি এটিপি তৈরি হয়এক মোল গ্লুকোজ হতে ৬৮৬,০০০ ক্যালরী উপন্ন হয় মোল এটিপি হতে ৫০০০ হতে ১৫০০০ ক্যালরী তৈরি হয়।)  এটিপি প্রস্তুত কালে প্রতিটি কোষ হাইড্রোজেন আয়ন বা মুক্ত ইলেকট্রন (Free Radical) উৎপন্ন করে রেসপাইরেটরি চেইন (Respiratory chain reaction) বিক্রিয়ায় এটি অক্সিজেন অনুতে পরিনত হয় বিভিন্ন ভিটামিন রেসপাইরেটরি চেইন বিক্রিয়ায় মুক্ত আয়ন পরিবহনে কাজ করে রেসপাইরেটরি চেইন বিক্রিয়ায় ব্যাঘাত হলে ফ্রী রেডিক্যাল বেড়ে গিয়ে কোষে নানা রকম অসুস্থতা দেখা দেয় এই বিক্রিয়া কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায়  (কোষের ভিতরের একটি অঙ্গানু) সংগঠিত হয়

ইনস্যুলিন এর সাহায্য ছাড়া দেহ কোষে  গ্লুকোজপ্রবেশ করতে পারে না ইনস্যুলিন একটি প্রোটিন যা প্যাংক্রিয়াসের বিটা সেলে সংশ্লেষিত হয় ইনস্যুলিন উৎপাদনের জন্য বিটা সেলের ৫১ টি এমাইনো এসিড এক অনু জিংক এর প্রয়োজন হয় 
কোষের এই উৎপাদিত শক্তিই মূলতঃ কোষের সকল প্রকার কাজের শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই শক্তির উৎপাদন ব্যহত বা ব্যবহার সঠিক ভাবে না হলেই দেহ কোষ রোগগ্রস্ত মৃত্যুবরন করে

ফ্যাটি এসিড:
এটি উদ্ভিদ দেহে সংশ্লেষিত হয় প্রানীজ দেহ প্রচুর পরিমান ফ্যাট ধারন করে উদ্ভিদ প্রানী দেহের চর্বি মূলত: ফ্যাটি এসিডের চেইন প্রানি উদ্ভিদ কোষের ,কোষ প্রাচীর এবং কোষ অঙ্গানুর প্রাচীর ফ্যাটি এসিড জাত পদার্থ দিয়ে তৈরি প্রতিটি কোষের গঠনাকৃতি তৈরি হয় ফ্যাটি এসিড জাত পদার্থ দিয়ে এই জন্য কোষের ফ্যাটি এসিড ভারসাম্য নষ্ট হলে কোষ এর কার্যকারীতা নষ্ট হয় ,কোষ অসুস্থ এবং মৃত্যুবরন করে

ফ্যাটি এসিডের গোলমাল হলে দেহে স্নায়ুতন্ত্রের নানা  রোগ হয় স্নায়ু কোষের স্নায়ু পরিবাহী তন্তু গুলির পৃষ্ট ভাগ ফ্যাটি এসিড জাত উপাদান দিয়ে তৈরি এই ফ্যাটি এসিড জাত স্তর কেমায়েলিনবলে এই মায়েলিন স্তর নষ্ট হলে ,স্নায়ু কোষ গুলোর মধ্যে বার্তা আদান প্রদান ব্যহত হয় আলঝাইমারস পার্কিনসন্স রোগ দুটির কারন আন্তঃকোষ যোগাযোগকারী তন্তু গুলোর মায়েলিন স্তর নষ্ট হয়

ক্র্যাবস চক্র চলার সময় উৎপন্ন ফ্রী রেডিক্যাল মূলতঃ কোষের ক্ষতি করে মুক্ত আয়ন ফ্যাটি এসিডের ডাবল কার্বন বন্ড কে আক্রান্ত করে এবং ফ্যাট ভেঙ্গে যায়, এবং ভাবে কোষ দেহ কোষ অঙ্গানুর ক্ষতি হয় ফ্যাটি এসিড চেইন মূলতঃ হাইড্রোজেন কার্বন এর (-)  একক এবং ডাবল = বন্ডের একটি লম্বা চেইন দেহ কোষ আবরনী এবং কোষ অঙ্গানুর আবরনী  এবং বিভিন্ন  ধরনের যৌন হরমোন এর  মূল উপাদান ডাবল কার্বন = বন্ডের একটি লম্বা চেইন এটি মূলত: অসম্পৃক্ত চর্বি ওমেগা থ্রী, ওমেগা সিক্স, ওমেগা নাইন ইত্যাদী অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড অতি অল্প তাপে এবং অক্সিজেনের সংস্পর্শে দ্রত নষ্ট হয় দেহ এই অত্যাবশ্যকীয় এসিড তৈরি করতে পারে না শুধুমাত্র খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমেই এটি কোষে প্রবেশ করে

ভিটামিন:
 ,বি১,,,১২,সি,ডি,, কে অনেক গুলো ভিটামিন উদ্ভিদ প্রস্তুত করে কোষের জৈব  রাসায়নিক কার্যক্রমকে  গতিশীল রাখার জন্য পরিমান মত প্রতিটি ভিটামিন প্রয়োজন হয় ভিটামিনের  অভাবে প্রতি মহূর্তেই কোষের  প্রান রাসায়নিক  কাজ ব্যাহত হয় উদাহরন  স্বরুপ ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজননীয়তার কথা বলা যায়

ভিটামিন-ডি হাড় তৈরিতে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করে দেহের হাড় তৈরির জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম ফসফরাস ৯৯ভাগ ক্যালসিয়াম এর সাথে ১ভাগ ফসফরাস একত্রিত হয়ে ক্যালসিয়াম ফসফেট তৈরি হয় যা মূলতঃ হাড় তৈরির প্রধান উপাদান  
ক্যালসিয়াম ফসফরাস হচ্ছে খনিজ পদার্থ এই খনিজ পদার্থ খাবার এর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ভিটামিন-ডি এর উপস্থিতিতে এটি  শোষিত হয় সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে চমের্র কোলেস্টেরল এই ভিটামিন প্রস্তুত করে আবার খাদ্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভিটামিন লিভার কিডনিতে বিপাক হওয়ার পর ব্যবহার উপযোগী হয়
ভিটামিন-ডি এর উপস্থিতি ছাড়া ক্যালসিয়াম ফসফরাস শোষিত হয় না প্যারা-থাইরয়েড হরমোন প্যারা-র্থমোন ভিটামিন-ডি এর কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রন করে
একই ভাবে ভিটামিন-বি১২ লাল রক্ত তৈরিতে প্রয়োজন হয় এভাবে ভিটামিন-,বি-,,,,সি, ,কে এর অভাবে নির্দিষ্ট রোগ হয় প্রতিদিন পরিমান মত নির্দিষ্ট ভিটামিন প্রতিটি দেহ কোষের প্রয়োজন হয় একমাত্র উদ্ভিদ দেহে এটি প্রস্তুত হয় মানুষ  উদ্ভিদ ভক্ষন এর মাধ্যমে  এটি নিজ দেহে পেয়ে থাকে

মিনারেলঃ
এটি খনিজ পদার্থ যার উৎস মাটি উদ্ভিদ মূল দিয়ে মাটি থেকে এই খনিজ সংগ্রহ করে নিজ দেহে সঞ্চিত করে এটি দেহ গঠনের এটি অপরিহার্য  উপাদান কোষের প্রান রাসায়নিক কাজ পরিচালনার জন্য বেশী ক্ষুদ্র পরিমানে  বিভিন্ন খনিজের উপস্থিতি প্রয়োজন এই খনিজের উৎস উদ্ভিদজাত খাবার সরাসরি মাটির উৎস থেকে দেহ এই খনিজ পদার্থ গ্রহন করতে পারে না
দেহ কোষ অভ্যন্তর বহিস্তর এর মধ্যে সকল প্রকার আদান  প্রদান  সংগঠিত হয় এই খনিজ প্রবাহের মাধ্যমে যেমন সোডিয়াম পটাশিয়াম এর গমনাগমন  এর মাধ্যমে দেহের সমস্ত ভারসাম্য রক্ষিত হয় কোষের বহিস্তর হতে সোডিয়াম কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং সামান্য সময়ের ব্যবধানে (ন্যানো সেকেন্ড) কোষ অভ্যন্তরস্থ পটাশিয়াম বাইরে বেরিয়ে আসে কোষের বহিস্তরে ধন্যাত্মক (পজেটিভ চার্জ) এবং অভ্যন্তরে ঋন্মাত্বক  (নেগেটিভ চার্জ) স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে সোডিয়াম পটাশিয়াম ধন্যাত্মক (পজেটিভ চার্জ) যুক্ত পরমানু (এটম ) ধন্যাত্মক (পজেটিভ চার্জ) যুক্ত সোডিয়াম পরমানু যখন কোষের অভ্যনÍরে প্রবেশ করে তখন কোষ অভ্যনÍরে  পজেটিভ চার্জ এবং বাহিরে  নেগেটিভ চার্জবিরাজ করে সামান্য সময়ের ব্যবধানে (ন্যানো-সেকেন্ড ) কোষ অভ্যন্তরস্থতঃ পজেটিভ চার্জ যুক্ত পটাশিয়াম  কোষের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং কোষের স্বাভাবিক অবস্থা (বাইরে ধন্যাত্মক ভিতরে ঋন্মাত্বক ) ফিরিয়ে আনে ভাবে কোষের ভিতর বাহিরে বৈদ্যুতিক বিভব (ইলেকট্রিক্যাল পটেনশিয়াল) সৃষ্টির মাধ্যমে বিদ্যুত প্রবাহ এর সৃষ্টি হয় এই বিদ্যুত প্রবাহই মূলতঃ কোষের ভিতর বাহিরের সমস্ত যোগাযোগ অব্যাহত রাখে

 মানব দেহ কোষে ৯০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২০০ গ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে কোষের অভ্যনÍরে পটাশিয়াম এবং বাইরে সোডিয়াম বেশি থাকে প্রতিদিন দেহের জন্য গ্রাম পটাশিয়াম -১৫ গ্রাম সোডিয়াম প্রয়োজন হয় কিডনির এড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হরমোন এলডোসটেরন দেহের সোডিয়াম পটাশিয়াম এর ভারসাম্য নিয়নÍ্রন করে এলডোসটেরন  ক্ষরন  বন্ধ থাকলে দেহ থেকেসোডিয়াম বেরিয়ে যায় অতিরিক্ত এরডোসটেরননিঃসরন ঘটলে দেহে সোডিয়াম সঞ্চয় হয় এবং পানি বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ হয়

হাইপো-নেট্রেমিয়া ( সোডিয়াম কমে যাওয়া):
মারাত্মক পানি শূন্যতা, পেশীর খিঁচুনী ,নিন্ম  রক্তচাপ, স্বাভাবিক দুর্বলতা  প্রভৃতি লক্ষন  দেখা যায়
হাইপার-নেট্রেমিয়া ( সোডিয়াম বেড়ে যাওয়া):
শরীর ফুলে উঠে,উচ্চ রক্তচাপ এর লক্ষন দেখা দেয়

ক্যালসিয়াম এর আদান প্রদান এর মাধ্যমে দেহ পেশী কোষের সংকোচন প্রসারন অবস্থা সৃষ্টি হয় ক্যালসিয়াম আয়ন প্রবাহের মাধ্যমে  ¯œায়ু উত্তেজনা সঞ্চালিত হয়
আয়োডিন এর উপস্থিতিতে থাইরোক্সিন হরমোন প্রস্তুত সম্পন্ন হয় আয়রনের উপস্থিতিতেহিমোগ্লোবিনপ্রস্তুত সম্পন্ন হয়
এভাবে কেøারিন,ফেøারিন,ম্যাগনেসিয়াম,জিংক,কপার,কোবাল্ট,সেলেনিয়াম,মোলিবডনাম সহ ৪০ টি খনিজের উপাস্থিতি প্রয়োজন হয়

পানিঃ
পানি, উদ্ভিদ প্রানীর অপরিহার্য উপাদান কোষ অভ্যন্তর বহিস্ত স্তরে থাকা সকল জৈব অজৈব উপাদান পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে আর পানি দ্রবীভূত উপাদান রক্ত কোষ এর মিশ্রনই হচ্ছে  প্রানীর তরল পদার্থ এই তরলের ৯৯% হচ্ছে পানিএকটি মানব দেহের ওজন যদি ৭০ কেজি হয় তবে  এর ৫০ কেজি হচ্ছে  পানি এই পানির  ৩৫ কেজি  থাকে কোষের অভ্যন্তরে,১০কেজি থাকে কোষের বহিস্তরে ,বাকী কেজি থাকে বিভিন্ন নালীতে (টিউব)
২৫ডিগ্রী তাপমাত্রায় পানি একটি নিরপেক্ষ বস্তু অর্থাৎ এসিড বা ক্ষারীয় নয় অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা দুই অবস্থায় দেহের চঐ ভারসাম্য নষ্ট হয় দেহ কোষের প্রান রাসায়নিক কাজ পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট PH (পটেনশিয়ালিটি অব হাইড্রোজেন) প্রয়োজন

প্রতিদিন দেহে ২৩০০ মিলি লিটার পানি প্রয়োজন হয় সরাসরি পানি পান করতে হয় ১৪০০ লিটার বাকী পানি খাদ্য গ্রহন বিপাক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত হয়
দেহ তরলের বিনিময়ের মাধ্যমে কোষ অভ্যন্তর কোষ বহিস্তঃ নির্দিষ্ট পদার্থের আদান প্রদান সম্পন্ন হয় কোষ বহিস্তঃ স্তর হতে পুষ্টি (এমাইনোএসিড,ফ্যাটি এসিড,গ্লুকোজ,ভিটামিন,মিনারেল পানি ) অক্সিজেন ,কোষ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পুষ্টি অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয় বিপাকীয় ক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ কোষের বাহিরের তরলে (রক্ত সোতে) মিলিত হয় এবং উক্ত বর্জ ঘাম ,শ্বাস তাগ , পায়খানা প্র¯্রাব এর মাধ্যমে দেহ হতে বেড়িয়ে যায়
বিভিন্ন পুষ্টির বিপাকের ফলে ভিন্ন ভিন্ন বর্জ উৎপন্ন হয় এমাইনো এসিড  (প্রোটিনের উপাদান) ফ্যাটি এসিড (চর্বির উপাদান) এর  বিপাকীয় বর্জ অন্ত্যন্ত শক্তিশালী এসিড (সালফিউরিক এসিড ,ফসফরিক এসিড, এসিটোএসিটিক এসিড) যা শুধুমাত্র কিডনির মাধ্যমে নিষ্কাষিত হয় তাই অতিরিক্ত প্রোটিন চর্বি যুক্ত খাবার কিডনির জন্য অন্ত্যন্ত ক্ষতিকর

স্টেম সেল পুষ্টি চিকিৎসাঃ
দেহের প্রতিটি অংশ কোষ (Cell) দিয়ে তৈরি প্রতিটি কোষের বায়োলজিক্যাল লাইফ রয়েছে প্রতিাট কোষের নির্দিষ্ট পুষ্টি (এমাইনো এসিড,ফ্যাটি এসিড, গ্লুকোজ,ভিটামিন,মিনারেল পানি) দৈনিক পরিমান (Daily Required) রয়েছে
দেহের সকল কোষ একই প্রান রাসায়নিক কাজ সম্পন্ন করার পর ভিন্ন ভিন্ন নির্বাহী আদেশ কার্যকরী করে থাকে এবং দেহ কোষ গুলির মধ্যে যোগাযোগ সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দেহ সুনির্দিষ্ট ভাবে নিয়ন্ত্রিত পরিচালিত হয়

যেমন অন্তনালীর কোষ গুলো মুখগহবর দিয়ে আসা সকল খাবার কে হজম,বিশ্লেষন শোষন করে থাকে

লিভার এর কোষ (হেপাটোসাইট) গুলো অন্ত্রনালী দ্বারা শোষিত সকল খাবার দেহের সিসটেম পরিচালনার উপযোগী করে তোলে যেমন প্রয়োজনীয় হরমোন, এনজাইম প্রোটিন সংশ্লেষন করে
হৃদপেশীর কোষ গুলো (মাইয়োসাইট) অবিরত ভাবে সংকোচন প্রসারন এর মাধ্যমে সাড়া দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট রাখে হৃদপেশি কোষের স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি সংকোচন প্রসারন ঘটলেই এটিকেউচ্চ রক্তচাপবলে
রক্ত সরবরাহকারী নালী (শিরা,ধমনী কৌশিক জালিকা) গুলো এন্ডোথেলিয়াম কোষ তৈরি দেহের প্রায় ১লক্ষ মাইল নালী এই কোষ দিয়ে তৈরি এই রক্তনালী দিয়ে রক্ত কোষ , পুষ্টি অক্সিজেন দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছাতে পারে
রক্ত কোষের কাজ হচ্ছে অক্সিজেন গ্রহন   কার্বন ডাই অক্সাইড বর্জন ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস সহ সব ধরনের টক্সিন কে ধ্বংশ করে দেহ কোষ কে নিরাপত্তা প্রদান রক্ত কোষের প্রধান কাজ
কিডনি কোষ দেহ কোষে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন  বর্জ পদার্থ নিষ্কাষন করে দেহ কে বিষ মুক্ত   ভারসাম্য দেয়
ফুসফুস এর এলভিওল কোষ গুলি বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে দেহ কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত করে
¯œায়ু কোষ গুলো দেহের বাইরে ভিতরে সমস্ত যোগাযোগের কেন্দ্র বিন্দু (মস্তিষ্ক) হিসাবে কাজ করে ¯œায়ু কোষের নির্দেশনা ছাড়া দেহের একটি কার্য সম্পাদন সম্ভব নয়
বিভিন্ন গ্রন্থি কোষ গুলো দেহের বিভিন্ন হরমোন,এনজাইম প্রোটিন তৈরি করে যেমন প্যাংক্রিয়াসের বিটা সেল প্রোটিনধর্মী হরমোন ইনস্যুলিন তৈরি করে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রোটিনধর্মী হরমোন থাইরক্সিন তৈরি করে কিডনির এড্রেনাল গ্ল্যান্ড এলডোসটেরন, কর্টিসল,টেসটোসটেরন প্রভৃতি ফ্যাটধর্মী হরমোন তৈরি করে প্রতিটি প্রোটিন এমাইনো এসিডের চেইন এবং প্রতিটি ফ্যাট ,ফ্যাটি  এসিড এর চেইন বিভিন্ন ধরনের হরমোন,এনজাইম প্রোটিন দেহ কোষের প্রান রাসায়নিক কাজ গুলো সচল অবিরত রাখে যে কোন একটি হরমোন,এনজাইম,প্রোটিন তৈরি না হলে দেহ কোষের প্রান রাসায়নিক কার্য বিঘœ ঘটে এবং কোষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় যেমন হরমোন ইনসুলিনতৈরি না হলে দেহে ডায়বেটিস রোগ হয়

প্রতিটি কোষের প্রান রাসায়নিক কার্য পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে নির্দিষ্ট পুষ্টি (এমাইনো এসিড,ফ্যাটি এসিড, গ্লুকোজ,ভিটামিন,মিনারেল পানি) এবং অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে প্রতিটি কোষ সুনির্দিষ্ট নীতিতে লক্ষ লক্ষ প্রান রাসায়নিক কার্য সম্পন্ন করে প্রতিটি প্রান রাসায়নিক কাজের বিপরীতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নির্বাহী কাজ

বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে,দেহের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ একটি মাত্র কোষ হতে সৃষ্টি হয়েছে বাবার একটি পুঃজনন কোষ (স্পার্ম), এবং মায়ের একটি স্ত্রীজনন কোষ এর মিলনের  ফলে মাতৃ জঠরে যে নতুন কোষের সৃষ্টি হয় সেটি হচ্ছে ব্লাস্টোসিষ্ট এই ব্লাস্টোসিষ্ট ধারাবাহিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে একটি পুর্নাঙ্গ  মানব শিশু তে পরিনত হয় এই ব্লাস্টোসিষ্ট এর প্রাচীর নীচ স্তরে বিশেষ ধরনের কোষ সৃষ্টি হয় এই কোষ গুলোই স্টেম সেল এই স্টেম সেল নিজেরা বিভাজিত হয় এবং পর্যায় ক্রমে একটি নির্দিষ্ট স্টেম সেল নির্দিষ্ট একটি অঙ্গে পরিনত হয় মানব শিশুর পূর্ন বিকশিত হওয়ার পর দেহের সবত্র স্টেম সেল লুকায়িত অবস্থায় থাকে প্রতিটি অঙ্গ কোষের নির্দিষ্ট জীবন কাল রয়েছে জীবন চক্র শেষে মৃত্যু মুখে পতিত হয় কিন্তু স্টেম সেল দীর্ঘ দিন বেঁেচ থাকে এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিভাজিত হয় অঙ্গ কোষ অসুস্থ হলে মানুষ রোগ মুক্ত হতে পারে,কিন্তু স্টেম সেল অসুস্থ হলে রোগ মুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়ে প্রতিটি কোষের অসুস্থতার প্রধান কারন পুষ্টিহীনতাঅন্য কারন গুলো হচ্ছে, বিকিরন  (X-Ray, MRI, CT-SCAN, PET-SCAN etc), ডায়গনষ্টিক এজেন্ট, স্টেরয়েড ড্রাগ, ক্যামিক্যাল ফুড,অলটার ফুড

কোষের অক্সিজেন এর অপরিহার্যতাঃ
গ্লুকোজ,এমাইনো এসিড,ফ্যাটি এসিড, কোষ এর সাইটোপ্লাজমে বিপাক হয়ে পাইরুভেট পরিনত হয় এবং সামান্য পরিমান রাসায়নিক শক্তি এটিপি তৈরি হয় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পাইরুভেট  ক্র্যাব সাইকেল অংশ গ্রহন করে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে পাইরুভেট ল্যাকটিক এসিড পরিনত হয় ক্র্যাব সাইকেল হচ্ছে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায় (power house of cell) সংগঠিত ধারাবাহিক রাসায়নিক বিক্রিয়া ক্র্যাবস সাইকেলে প্রবেশের পূর্বে পাইরুভেট বিপাক হয়েএসিটাইল কোয়া  (Acytile CoA) পরিনত হয় ক্র্যাবস সাইকেল চলার সময় ধারাবাহিক ভাবে এনজাইম কো-এনজাইমএর সহায়তায় হাইড্রোজেন আয়ন বা সমপরিমান ইলেকট্রন বস্তু টি থেকে স্থানান্তর হয়ে একটি অক্সিজেন অনু তৈরি করে অক্সিজেন অনু হাইড্রোজেন এর সাথে মিলে পানির অনু তৈরি করে কোষের  হাইড্রোজেন আয়ন বা সমপরিমান ইলেকট্রন  স্থানান্তর এর মাধ্যমে অক্সিজেন অনু তৈরির প্রক্রিয়া কে রেসপাইরেটরী চেইন বলে কোষেররেসপাইরেটরী চেইনবন্ধ হলে কোষের মৃত্যু ঘটে
_______







Pj‡e