দেহ প্রান কিভাবে চলে, ডাক্তার , ড্রাগ ও খাদ্যের কাজ কি !
মানব দেহ ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। প্রতিটি কোষ একটি ক্ষুদ্র জীবন। প্রতিটি কোষ এর অভ্যন্তরীন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একই ধরনের। এরা একই ধরনের খাবার খায় এবং একই প্রক্রিয়ায় খাবার হজম ও রেচন করে। দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো হাজার হাজার কাজে ব্যস্ত থাকলেও সকল কাজের উৎসস্থল হচ্ছে কোষ। প্রতিটি কোষের ভিতর একটি নির্দিষ্ট কর্ম তালিকার গোপন নির্দেশিকা আছে। ঐ নির্দেশ অনুসারে কোষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব দায়িত্ব পালন করে। কোষ প্রায় ১লক্ষ ৪০ হাজার প্রোটিন, ৬৫ হাজার এনজাইম, ৬৫ ধরনের হরমোন এবং ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষে ১সেকেন্ড এর ১০০০ ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে দেহ পদ্ধতি চালু রাখে।
প্রতিটি প্রোটিন, এনজাইম, হরমোন ও এন্টিবডি তৈরির কাঁচা মাল হচ্ছে এমাইনো এসিড । কোষ নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্লুকোজ থেকে অনবরত শািক্ত উৎপাদন করে চলে। সেই উৎপাদিত শক্তি দিয়েই এমাইনো এসিড একত্রিত করে প্রোটিন, এনজাইম, হরমোন ও এন্টিবডি তৈরি করে। প্রতিটি প্রোটিন, এনজাইম, হরমোন ও এন্টিবডি তৈরির নির্দিষ্ট গোপন নির্দেশিকা রয়েছে।
কোষ এ উপাদানগুলা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকে। কোষীয় খাবার মাত্র ৬ টি । (১) এমাইনো এসিড (২) ফ্যাটি এসিড (৩) গ্লুকোজ (৪)) ভিটামিনস (৫) মিনারেলস (৬) পানি। এ ৬টি খাবার শুধু উদ্ভিদ দেহেই পাওয়া যায়।
কোষ দেহের কাজের ভারসাম্য নষ্ট হলেই তাকে আমরা রোগ বলি। এভাবে দেহে হাজার হাজার ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হয় এবং এটিকে হাজার হাজার রোগ নামে অভিহিত করা হয়। কোষ ভারসাম্য ফিরে পেলে রোগমুক্ত হয়।
কোষের ভারসাম্যতা হারানোর পেছনে রয়েছে ত্রুাটপূর্ন খাদ্য ও ত্রুটিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। কোষের ভারসাম্য ফিরে আসার পিছনে রয়েছে সঠিক খাদ্য ও ত্রুটিমুক্ত জীবন ব্যবস্থা। ডাক্তার ও ড্রাগ ভারসাম্যহীন দেহের অভিযোগকে বশে রাখার সাময়িক ব্যবস্থা নিতে পারে মাত্র, দীর্ঘ দায়িত্ব নিতে পারে না। একমাত্র সঠিক খাদ্যই দিতে পারে রোগমুত্ত স্বুস্থ জীবন।
ড. শিবেন্দ্র কর্মকার
ডক্টরেট এন্ড পিএইছ ডি ইন ন্যাচারাল মেডিসিন
No comments:
Post a Comment