The Power OF
Adapto-Medicine for Curing Infectious Disease.
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে এডাপটো-মেডিসিন এর সংক্রমক ব্যাধী নিরাময়ী ক্ষমতা
ডক্টর শিবেন্দ্র কর্মকার
Doctorate & Ph.D In Natural
Medicine,USA
এডাপটো-মেডিসিন কনসালটেন্ট
মানব দেহের প্রধান রোগের জন্য দায়ী “ক্ষুদ্রঅনুজীব’ যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, প্রোটোজোয়া, মেটাজোয়া।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রোগ সৃষ্টিকারী জীবানু হচ্ছে,‘ব্যাকটেরিয়া’।
বাকি
রোগের জন্য দায়ী কারণ গুলো হচ্ছে;
১> খাদ্যে রাসায়নিক বিষ ও ড্রাগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
২> দৈহিক অঙ্গের ডি-জেনেরেশন। যেমন ডায়বেটিস।
৩> নিউ-প্লাজম। (দেহ কোষের নিউক্লিয়াসের রোগ) যেমন,ক্যানসার।
ব্যাকটেরিয়া:
ব্যাকটেরিয়া একটি ক্ষুদ্রজীব ।শুধু অনুবিক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমেই এদের দেখা যায় । প্রকৃতির সর্বত্রই
এদের অবস্থান রয়েছে। মানব দেহের ভিতর ও বাহিরে শত ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে।
কার্যকারীতার দিক দিয়ে ব্যাকটেরিয়া দুধরনের:
১> উপকারী ব্যাকটেরিয়া।
২>অপকারী ব্যাকটেরিয়া বা রোগ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া।
বসবাসের দিক থেকে ব্যাকটেরিয়া দু ধরনের:
১> দেহ কোষের ভিতর বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া। যেমন, রিকেটিসায়িই, স্লামাইডায়ি এবং এরা অপকারী ব্যাকটেরিয়া। এরা বেঁচে থাকার জন্য ও বৃদ্ধির জন্য কোষ দেহের ভিতর অবস্থান করে।
২> দেহ কোষের বাহিরে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া। অসংখ্য। একটি ব্যাকটেরিয়ার আয়তন .০২মাইক্রন-৫মাইক্রন। (১মাইক্রন=১মিটারের ১০লক্ষ ভাগের ১ ভাগ।)
ব্যাকটেরিয়াদের দেহ পর্দা দু ধরনের হয়:
১> অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়ার দেহ পর্দা তৈরি হয় ‘এমাইনোএসিড ও গ্লুকোজের ’ সম্বনয়ে যাকে
বলা হয় ‘পেপটাইডোগ্লাইকান’।
২> মাত্র একটি ব্যাকটেরিয়ার দেহ তৈরি হয় ফ্যাট দিয়ে যাকে বলা হয় ‘স্টেরল। এটির নাম‘মাইকোপ্লাজমা । একটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া।যার আয়তন .৩ মাইক্রন।
মানুষের দেহে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার আবাস স্থান:
মানব দেহের বিভিন্ন স্থানে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়ারা শান্তিপূর্ন বসবাস করে। এরা
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে দেহকে রক্ষা করে। দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন,ভিটামিন বি এবং কে তৈরি করে। দেহের পুষ্টির অভাব বা এন্টিবায়োটিক থেরাপী গ্রহনের ফলে, উপকারী ব্যাকটেরিয়াও রোগ তৈরি করে।
মুখ:
মানুষের মুখে ‘স্ট্রেপটোক্কাস ’নামে একটি ব্যাকটেরিয়া প্রচুর পরিমানে বসবাস করে। দাঁতের এনামেল নষ্ট করে
গর্ত তৈরির জন্য
জন্য এই ব্যাকটেরিয়াই দায়ী। প্রতি গ্রাম ডেন্টাল প্লাকে ১০০ কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে
থ্রোট:
দেহের গলায় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। এরা হলো এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো ,কিছুক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া যেমন এস পাইওজেনেস , নেইসেরিয়া মেনিনজাইটিস, এস অরিয়েস এর বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে।
স্কিন:
চর্মেও
উপর বেশ কয়েক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। এরা হলো, স্টেপাইলোকক্কাস, এপিডারমাইডিস করিনব্যাকটেরিয়াম, ক্যানডিডা এলবিকানস. সিউডোনোমাস আরিজিওনেসা।
নাক:
নাকের ভিতর স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়েআস, ভেরিয়নস্ট্রেপটোকক্কি নামের জীবানু বসবাস করে।
যৌন মুখ:
মহিলাদের যৌন মুখে ল্যাকটোব্যাসিলাস,ও ই কোলাই জীবানু বসবাস করে।
মুত্রনালী:
এস এপিডারমাইিিস,করিনব্যাকটেরিয়াম,ই কোলাই জীবানু মুত্রনালীতে বসবাস করে।
কোলন:
মানুষের কোলনে বিফিডোব্যাকটেরিয়াম, ইউব্যাকটেরিয়াম, এনটারোকক্কাস ফেক্যাীলস, ক্লসট্রাইডাম জীবানু বসবাস করে।
ব্যাকটেরিয়া কি ভাবে রোগ সৃষ্টি করে:
ব্যাকটেরিয়া দু ভাবে রোগ সৃষ্টি করে। এক এনজাইম নিঃসরনের মাধ্যমে দুই টক্সিন
উৎপাদন এর মাধ্যমে। ব্যাকটেরিয়া মানুষের টিস্যু আক্রমনের মাধ্যমে প্রদাহ ঘটায়।
আক্রমনকারী ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধরনের এনজাইম (প্রোটিন )নিঃসরন করে।
নিন্ম উল্লেখিত এনজাইম গুলি নিঃসরনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে রোগ ছড়ায়।
১>
কোলানেজ এবং হাইয়াল্যুরোনাইডেজ:
এটি টিস্যুর কোলাজেন
এবং হাইয়ালুরোনিক এসিড কে ভেঙ্গে ফেলে।ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন ছড়িয়ে দিতেসাহাজ্য করে। স্ট্রেপটোকক্কাস পাইরোজেনস নামক ব্যাকটেরিয়া মূলতঃ এ ধরনের এনজাইম নিঃসরন ঘটায়।
২>
কোয়াগুলেজ:
স্টেফাইলোকক্কাস অরেয়াস এ ধরনের এনজাইম নিঃসরনের মাধ্যমে ‘ফাইব্রিন ক্লট ’ তৈরিকরে। এ ধরনের ক্লট, ব্যাকটেরিয়াকে ফ্যাগোসাইটোসিস (মানব দেহের কিছু শ্বেত কনিকা ,যে প্রক্রিয়ায় জীবানু ধ্বংশ করে।) এর হাত থেকে রক্ষা করে।
৩>
ইমিউগ্লোবিউলিন
‘এ’
প্রোটিয়েজ:
এন গনোরিয়া , হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েনজা, এবং স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া গুলো এ ধরনের এনজাইম নিঃসরনের মাধ্যমে
ইমিউগ্লোবিউলিন ‘এ’ এন্টিবডিকে ভেঙ্গে ফেলে, ফলে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া গুলো মিউকাস মেমব্রেন কে ভেদ করে ,
রক্ত স্রোতে প্রবেশ করতে পারে।
৪>
লিউকোসাইডেনস:
কিছু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা নিঃসৃত এই এনজাইম নিউট্রোফিল এবং ম্যাক্রোফ্যাজ (উভয়েই শ্বেতরক্ত কনিকা) কে ধ্বংশকরে। কিছু ব্যাকটেরিয়া টক্সিন উৎপাদন এর মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। এরা দু ধরনের টক্সিন তৈরি করে। এক্সোটক্সিন ও এন্ডোটক্সিন।
এক্সোটক্সিন:
এক্সোটক্সিন হচ্ছে পলিপেপটাইড ধরনের। পলিপেপটাইড হচ্ছে প্রোটিনের ক্ষুদ্র অংশ যা ২ থেকে ১০টি এমাইনো এসিডের শিকল । এক্সোটক্সিন অত্যন্ত বিষাক্ত। উদাহরন ; টিটেনাস টক্সিন। ১মাইক্রোগ্রাম এর কম টক্সিন মারাত্মক বিষক্রিযা তৈরি করে। এক্সোটক্সিন অত্যন্ত কার্যকরী এন্টিজেন (যে পদার্থ এন্টিবডি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়্।) এটি এন্টিটক্সিন বা বিষ নাশক হিসাবে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। বটুলিজম এবং টিটেনাস রোগের প্রতিরোধ চিকিৎসায় ভ্যাকসিন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ডিপথেরিয় ,টিটেনাস ,বটুলিয়াম , কলেরা , ই কোলাই এর এক্সোটক্সিন ,মানব দেহ কোষের নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাথে সংযুক্ত হয়ে , কোন প্রোটিন কে সক্রিয় আবার কোন প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে রোগ তৈরি করে।
এন্ডোটক্সিন:
এন্ডোটক্সিন ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের অংশ থেকে নিঃসৃত হয়। এন্ডোটক্সিনগুলো লিপোপলিস্যাকারাই ধরনের। এক্সোটক্সিন অপেক্ষা কম
বিষাক্ত। প্রত্যেক এন্ডোটক্সিন জ্বর ও শক তৈরি করে।
জর এবং নিম্ন রক্তচাপ হচ্ছে, সেপটিক শকের বৈশিষ্ট্য। রক্ত স্রোতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থাকলেই এটিকে সেপটিক শক বলে।
ব্যাকটেরিয়ার আত্ম রক্ষার কৌশল:
আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া নিজেদের দেহের চারিপাশে কোষ আবরনী তৈরি করে ফ্যাগোসাইটোসিস থেকে রক্ষা পায়। যেমন এস নিমোনিয়া,এন মেনিনজাইটিস। এরা কোষ দেহ কে পলিস্যাকারইডের আবরনে ঢেকে ফেলে। পলিস্যাকারইড
একটি ভাল এন্টিজেন (এটি একটি জৈব পদার্থ যা শরীরে এন্টিবডি তৈরিতে
সাড়া জাগায়।) যা নির্দিষ্ট এন্টিবডি তৈরি করে, যা পলিস্যাকারইড কে ভেঙ্গে দিয়ে ফ্যাগোসাইটোসিস কে সহজ করে তোলে। বিভিন্ন
রোগের ভ্যাকসিন হিসাবে পলিস্যাকারাইডের ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। কিছু ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনের আবরন তৈরি করে ফ্যাগোসাইটোসিস এর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে। যেমন এম প্রোটিন, প্রোটিন এ। এ ধরনের প্রোটিন এন্টিবডি আইজি জি (IGg)
এর সাথে বন্ধন তৈরি করে এবং কমপ্লিমেন্ট (দেহের আরেক ধরনের জীবানু বিনাশক ব্যবস্থা।) এর
কার্যকারীতাকে প্রতিরোধ করে বেঁেচ থাকে।
ব্যাকটেরিয়া দু ধরনের প্রদাহ ঘটায় :
১>
পাইয়োজেনিক অর্থাৎ এরা সংক্রমক অংশে পুঁজ তৈরি করে।পুঁজ তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়া গুলো হলো; স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, সেট্রপটোকক্কাস পাইয়োজেনস, স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস,নেইসসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস বেসিলাস এনথ্রাসিস, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েন্জা, এসকেরিসিয়া কোলাই, সালমোনেলা টাইফি।
২>
গ্রাণুলোমাটোয়াস সংক্রমন:এ ধরনের সংক্রমনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া হলো,
মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এরা ম্যাক্রোফ্যাজ (এক ধরনের বড় শ্বেতরক্ত কনিকা) এর ভিতর বেঁেচ থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে। দেহের প্রধান সব অঙ্গগুলো ম্যাক্রোফ্যাজের আবরন দ্বারা বেষ্টিত থাকে এবং জীবানুকে ধ্বংশ করে অঙ্গগুলোকে প্রদাহর হাত থেকে রক্ষা করে।কিছু
ম্যাক্রোফ্যাজ জীবানু
দ্বারা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সৃষ্টি করে।
সংক্রমক রোগের ৪টি পর্যায় থাকে:
১> ইনকিউবিশন স্টেজ বা সুপ্ত অবস্থা:
জীবানুর টক্সিন উৎপন্ন থেকে শুরু করে উপসর্গ প্রকাশ পযর্ন্ত সময় হচ্ছে, এটি। ১ ঘন্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় জীবানূ থাকতে পারে।
২> প্রোড্রোম স্টেজ :
জ্বর ,গাব্যাথা,এবং ক্ষুধামন্দ অনুভব হয়।
৩> নির্দির্ষ্ট অসুস্বস্থ্যতার পর্যায়:
রোগের সব লক্ষন এ পর্যায়ে প্রকাশিত হয়।
৪> আরোগ্য লাভ পর্যায়:
এ পর্যায়ে রোগী আরোগ্য লাভ করে। আরোগ্য লাভের পরও কিছু রোগী দীর্ঘদিন আক্রান্ত জীবানু বহন করে।
মানব দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:
দেহের নিজস্ব জীবানু বিনাশক ব্যবস্থা’ মূলতঃ দুটি যা, একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে।
১> নন স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:
এটি সাধারন ভাবে জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।৩টি প্রধান স্তরে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে।
ক) দৈহিক প্রতিŸন্ধকতা : যেমন সম্পূর্ন চর্ম, শ্লেষার স্তর।
খ) জীবানু ভক্ষক কোষ যেমন, নিউট্রফিল, ম্যাক্রেফ্যাজ,ন্যাচারাল কিলার কোষ।
গ) প্রোটিন: যেমন, কমপ্লিমেন্ট, লাইসোজাইম, ইন্টারফেরন।
কিভাবে নন স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবানু ধ্বংশ করে।
যখনেই দেহে কোন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে,তখনেই দেহ প্রতিরক্ষা
মূলক প্রদাহে সাড়া দেয়। এ ধরনের সাড়ায় সাধারনত আক্রন্ত স্থানে লাল,ফুলে উঠা,গরম বোধ এবং ব্যাথার অনুভব হয়। আক্রান্ত স্থানে রক্তের অতিরিক্ত প্রবাহ ,প্রান্তিক রক্তজালিকার ভেদ্যতা বৃদ্ধি এবং টিস্যুর মধ্যবর্তী স্থানে তরল পদার্থ ও শেবতকনিকার প্রবেশ। আক্রান্ত স্থানের প্রান্তিক রক্তনালিকার ভেদ্যতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, আক্রান্ত
কোষ গুলি হতে কিছু রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরন। এই রাসায়নিক পদার্থ গুলো হলো, হিস্টমিন, প্রোস্টাগ্লাইডিন ও লিউকোসাইড্রাইয়েনস। কোষগুলি ব্রাডিকিনিন নামে একটি প্রোটিন তৈরি করে যা,ব্যাথা তৈরি করে।
প্রথম প্রদাহের সাড়াকে প্রদমিত করে কিডনির ‘এড্রেনালগ্ল্যন্ড’ হতে নিঃসৃত হরমোন ‘কর্টিকোকয়েডস’। প্রদাহের শুরুতেই নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন লিভার প্রস্থুত করে। এদের মধ্যে সি-রিয়েকটিভ প্রোটিন,ম্যানোজ বাইন্ডিং প্রোটিন,লিপোপলিস্যাকারাইড বাইন্ডিং প্রোটিন। এই প্রোটিন গুলিকে সম্মিলিত ভাবে ‘একুইড ফেইজ প্রোটিন’ বলা হয়। এই প্রোটিন গুলো ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচিরের সাথে আটকে যায় এবং দেহের কমপ্লিমেন্ট (আরেক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা,২০টি প্রোটিনের সম্বনয়ে তৈরি হয়।) ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে যাতে, ফ্যাগোসাইটোসিস সহজতর হয়।
প্রদাহ শরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়া গুলো শ্বেত রক্ত কনিকা পলিমরফোনিউক্লিয়ার নিউট্রিফিলস (PMNS) ও ম্যাক্রোফ্যাজ দ্বারা আক্রান্ত হয়।শ্বেত রক্ত কনিকার ৬০% (PMNS) দ্বারা পূর্ন থাকে।
নিউট্রোফিলস এবং ম্যাক্রোফ্যাজ এর জীবানু ধ্বংশ করার প্রক্রিয়া ৩টি পর্যায়ে হয়।
মাইগ্রেশন:
পি এম এনস গুলো
আক্রান্ত স্থানের দিকে ছুটে যায় এবং আক্রান্ত স্থানের ধমণীর গায়ে লেগে যায়। কিছু প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান ,ইন্টারলিউকিন-১ এবং টিউমার ন্যাক্রোসিস ফ্যাক্টর (ঞঘঋ) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে ;ম্যাক্রেফ্যাজ নিঃসরন করে থাকে। আক্রান্ত
কোষ থেকে হিস্টামিন,কিনিন,প্রোষ্টাগ্লানডিনস প্রভৃতি
রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং আক্রান্ত ধমনীর ভেদ্যতা বেড়ে যায় এবং
চগঘং
কে ধমনী অতিক্রম করে ব্যাকটেরিয়ার কাছে যেতে সাহায্য করে। চগঘং এর এই আক্রমন কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটে।
ইনজেসসন
:
PMNS
দ্বারা গিলে ফেলার পর ব্যাকটেরিয়ার চর্তুদিক ঘিরে ফেলে,ভ্যাকিইল তৈরি করে এটিকেই ফ্যাগোসোম বলে। এভাবে ব্যাকটেরিয়া কে গিলে ফেলার প্রক্রিয়াকে এনিাটবডি IGg সাহায্য করে। এন্টিবডি IGg
ব্যাকটেরিয়ার কোষ পর্দায় লেগে যায় এবং ফ্যাগোসাইটোসিস কে সহজ করে তোলে। এই প্রক্রিয়াকে অপসোনাইজেসন বলে। একই ভাবে কমপ্লিমেন্ট ও অপসোনাইজেসন কে সাহায্য করে। গিলেফেলার সময় PMNS
এর ভিতর মেটাবলিক প্রক্রিয়ায় দুটি ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংশী এজেন্ট তৈরি হয়। এদের একটি সুপার অক্সাইড রেডিক্যল
অন্যটি হাইডোজেন পারঅক্সাইড।
কিলিং পর্যায়:
ফ্যাগোসোম এর ভিতর থাকা ব্যাকটেরিয়ার নিধন দুটি পর্যায়ে সংগঠিত হয়। মেটাবলিক প্রক্রিয়ায় ক্লোরিন আয়ন এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বিাক্রয়ায় অতি সক্রিয় ‘হাইপোক্লোরাইড’ আয়ন তৈরি হয়। এটি শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংশী এজেন্ট । PMNS
এর সাইটোপ্লাজমে থাকা দানাদার থলি গুলিকে লাইসোসোম বলে। এ থলি গুলি বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ধারন করে যা
ফ্যাগোসোমকে ধ্বংশ করে। হাইপোক্লোরাইট আয়ন দানাদার থলি গুলিকে বিগলিত হতে সাহায্য করে।
মাইক্রোঅর্গানিজম ধ্বংশে দেহ আরও দুটি কৌশল অবলম্বন করে:
১> অক্সিজেন নির্ভর
২> অক্সিজেন অনির্ভর
অক্সিজেন নির্ভর:
অক্সিজেন নির্ভর কৌশলে ম্যাক্রোফ্যাজ ও নিউট্রফিল অতি উচ্চ ক্রিয়াশীল হাইপোক্লোরাইট আয়ন উৎপন্ন করে । এটি ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর কে নষ্ট করে দেয় ফলে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটে।
অক্সিজেন অনির্ভর:
অক্সিজেন অনির্ভর কৌশল এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া নিধনে কাজ করে। এই কৌশলে লেকটোফেরিন (নিউট্রোফিলস ও ম্যাক্রোফ্যাজ এর সাইটোপ্লাজমে থাকা ৮৫% দানাদার থলি যা,এ এনজাইম ধারন করে।) অংশগ্রহণ করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার আয়রন গ্রহণ বন্ধ করে দেয় ফলে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটে। লাইসোজাইম (ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর ‘পেটটাইডোগ্লাইকান ’ ভেঙ্গে ফেলে ,যার কারনে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটে। (এটি
PMNS সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইম)
২>
স্পেসিফিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থ:
নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দু ভাবে সংরক্ষিত হয়:
ক) সেল মেডিয়েটেড অর্থাৎ সরাসরি কোষের অংশগ্রহনের মাধ্যমে।যেমন টি-সেল
খ) এন্টিবডি মেডিয়েটেড অর্থাৎ প্রতিরক্ষা কোষের উৎপাদিত প্রোটিনের মাধ্যমে। যেমন, বি-সেল। সেল
মেডিয়েটেড ইমিউন পদ্ধতি এবং
এন্টিবডি মেডিয়েটেড ইমিউন পদ্ধতি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ভাবে জীবানুকে আক্রমন করে
এবং
ধ্বংশ করে।
ক)
টি-
সেল মেডিয়েটেড ইমিউন সিস্টেম কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে করে:
উদাহরন: যখন যক্ষা জীবানু (মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস) যখন দেহে প্রবেশ করে তখন দেহের শ্বেত কনিকা (ম্যাক্রোফ্যাজ) যক্ষা জীবানুকে খেয়ে ফেলে। ব্যাকটেরিয়ার টুকরা অংশ এক ধরনের
প্রোটিন এর সাথে সংযুক্ত হয়ে শ্বেত কনিকার পর্দায় লেগে থাকে।এটিকেই এন্টিজেন বলে। এই এন্টিজেন বিশেষ ধরনের টি –সেল (হেলপার টি সেল) এর রিস্পেটর এর সাথে সংযুক্ত হয় এবং হেলপার টি-সেল ‘ইন্টারলিউকিনস’ উৎপন্ন করে। এটি বিশেষ ধরনের একটি প্রোটিন যা, বি-সেল কে উত্তেজিত করে এবং নির্দিষ্ট জীবানু ধ্বংশের
জন্য
নির্দিষ্ট এন্টিবডি উৎপাদন
করে ।
খ)
বি-সেল (এন্টিবডি) মেডিয়েটেড ইমিউন সিস্টেম কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে:
এন্টিবডি সংশ্লেষনের জন্য তিন ধরনের কোষের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এরা হলো ম্যাক্রোফ্যাজ,হেলপার টি সেল,বি-সেল। হেলপার টি-সেল ‘ইন্টারলিউকিনস’(একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন) উৎপন্ন করে। ইন্টারলিউকিন-৫, বি-সেল কে সক্রিয় করে । সক্রিয় বি-সেল বিভাজিত হয় এবং বিশেষায়িত হয়ে ,প্লাজমা কোষ গঠন করে। এই প্লাজমা কোষ বৃহৎ পরিমানে ইমিউগ্লোবিউলিন (এন্টিবডি)এর নিঃসরন ঘটায়। কিছু এন্টিজেন যেমন,ব্যাকটেরিয়াল পলিস্যাকারাইড (কিছু ব্যাকটেরিয়া ফ্যাগোসাইটোসিস থেকে আত্মরক্ষার জন্য পলিস্যাকারাইডের আবরন তৈরি করে।) বি-সেল কে সরাসরি সক্রিয় করে এবং এন্টিবডির নিঃসরন ঘটায়। নির্দিষ্ট এন্টিবডি ,নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া জীবানুকে ধ্বংশ করে।
ন্যাচারাল কিলার সেল (Natural killer cell) কিভাবে জীবানু ধ্বংশ করে:
Natural
Killer cell দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এরা ভাইরাস এবং টিউমার আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে। এরা দুটি সাইটোটক্সিন নিঃসরন করে। ‘পারফেরিন ও গ্রানজাইমেস’। এগুলি বিশেষ ধরনের প্রোটিন যা ভাইরাস আক্রান্ত কোষকে হত্যা করতে পারে। এই কোষ কোন ধরনের সাহায্য ছাড়াই এ কাজ করতে পারে। রক্তের শ্বেত কনিকার ৫-১০% এই ধরনের কোষ।এন্টিবডি,ইন্টারলিউকিন-১২ এবং গামা ইন্টারফেরন এদের কার্যকরীতাকে বৃদ্ধি করে।
এলোপ্যাথিক ড্রাগ ‘এন্টিবায়োটিক’কিভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে:
পৃথিবীর প্রথম এন্টিবায়োটিক
আবিষ্কার
হযেছিল ১৯২৮ সালে।আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ‘পেনিসিলিয়াম টোটানাম’ নামক ছত্রাক হতে এই এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় ধরনের এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয় ১৯৪১সালে‘ সেফালোসফোরিন’নামক একধরনের সামুদ্রীক ছত্রাক হতে। বর্তমানে অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক থাকলেও ‘পেনিিিসলিন’ এবং ‘সেফাসলোসফোরিনই প্রধান এন্টিব্যাকটেরিয়াল ড্রাগ। সাড়া বিশ্বের ডক্টরগন প্রদাহ বিরোধী যে এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করে থাকেন তা মূলতঃ এই দুটি প্রধান এন্টিবায়োটিক এজেন্ট থেকে তৈরি বিাভন্ন নামের এন্টিবায়োটিক। যেমন ,পেনিসিলিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক গুলি নিন্মবূপ: এ্যাম্পিসিলিন, বেনজাথিন পেনিসিলিন, ক্লক্সাসিলিন, ফ্লুক্লক্সাসিলিন, এ্যামোক্সিসিলিন, পেনিিিসলিন ইত্যাদী।
যেমন,সেফালোসফোরিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক গুলি নিন্মরূপ: সেফইক্সিম, সেফরাডিন,সেফপোডোক্সিম, সেফারঅক্সিম, সেফটাজাইডিম, সেফট্রায়াক্সন ইত্যাদী।
পেনিসিলিন’
ও
‘সেফালোসফোরিন’
কি ভাবে ব্যাকটেরিয়া হত্যা করে:
উভয় এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার কোষ পর্দা ‘পেপটিডোগ্লাইকান’ কে সংশ্লেষন হতে বাধা দেয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচির তৈরির কৌশল ব্যহত হওয়ার কারনে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারেনা।
কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়ার কোষ
প্রাচীর ‘ফ্যাট’ দিয়ে তৈরি। যেমন যক্ষার জীবানু মাইকোব্যাকাটরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। উপরিউক্ত এন্টিবায়োটিক দ্বারা এই জীবানু নিধন সম্ভব নয়। তাই কিছু অন্য ধরনের এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট আছে
যা,ব্যাকটেরিয়ার ‘প্রোটিন’ তৈরির কৌশল কে ব্যহত করার মাধ্যমে এর জন্মকে থামিয়ে দেয় এবং
ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু ঘটায়। এধরনের এন্টিবায়োটিক গুলি হচ্ছে: এজাইথ্রোমাইসিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, সিপ্রোক্লক্সাসিলিন, লিভোফ্লক্সাসিন, ডক্সিসাইকলিন, ক্লোরামপেনিকল, জেন্টামাইসিন ইত্যাদী।
এন্টিবায়োটিকের রাসায়নিক উপাদান মূলতঃ এসিড:
যেমন, পেনিসিলিন এর উপাদান; পেনিসিলিনিকএসিড। সেফালোসফোরিনের উপাদান; সেফালোসফোরিনিক এসিড।
দেহের প্রতিরক্ষা কোষের রাসায়নিক গঠন ও কার্যাবলী:
দেহের প্রতিটি কোষের গঠন এবং জীবন ধারন পদ্ধতি একই রকমের। একটি কোষের বাহিরের কাঠামো এবং ভিতরের অঙ্গানুগুলির কাঠামোর রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষন করে জানা গেছে;এটি প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও ফ্যাট এর সমন্বয় ছাড়া অন্য কিছু নয়।
প্রোটিন হচ্ছে, এমাইনো এসিডের একটি চেইন।
কার্বহাইড্রেট হচ্ছে, গ্লুকোজ এর একটি চেইন।
ফ্যাট হচ্ছে,ফ্যাটি এসিডের চেইন।
মূলতঃ একটি কোষ এর সকল কাঠামো তৈরি হয় ,এমাইনো এসিড,গ্লুকোজ ও ফ্যাটি এসিডের সমন্বয়ে। ভাষা গঠনের যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যক বর্ণমালা আছে, তেমনি দেহ গঠনের বর্নমালা হচ্ছে ৩টি: এমাইনোএসিড, গ্লুকোজ ও ফ্যাটিএসিড।শুধু মাত্র প্রকৃতিই এই বর্নমালা তৈরির রহস্য জানে । কোষের জৈব রাসায়নিক কার্যাবলীর বিশ্লেষন করে জানা গেছে যে, প্রতিটি কোষ এমাইনোএসিড, ফ্যাটিএসিড, গ্লুকোজ, ভিটামিন, মিনারেল, পানি ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে, সর্বক্ষন প্রাণ রাসায়নিক কাজ সম্পাদন করে। উপরিউক্ত জৈব রাসায়নিক গুলির ব্যবহারের মাধ্যমে কোষ প্রায় ৭ লক্ষ প্রাণ রাসায়নিক কাজ সম্পন্ন করন। ৭৫০০০ এর মত এনজাইম,কয়েক শত এর বেশী হরমোন এবং বিলিয়ন বিলিয়ন এন্টিবডি তৈরি করে।
১ লক্ষ ৬৫ হাজার প্রোটিন তৈরি করে।
মানব দেহের প্রকাশিত,অপ্রকাশিত সব সব কাজেরই মুলে রয়েছে,এনজাইম,হরমোন ও এন্টিবডি এর পারস্পরিক যোগসাজসে এক অভূতপূবর্ “জৈব প্রাণ রাসায়নিক কার্যক্রম”। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আবি®কৃত সব প্রযুক্তি এক সাথ করলেও , কোষের জৈব প্রাণ রাসায়নিক কার্যক্রমের ১০০কোটি ভাগের ১ ভাগ এর সমান হবে
না।
কোষের প্রাণ রাসায়নিক কাজের নির্দেশনার সকল গোপন তথ্য নিহিত থাকে, কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ‘ক্রমোজম’এর মধ্যে। ক্রমোজম নির্মিত হয় ‘জিন’এর সমন্বয়ে। প্রতিটি জিন নির্মিত হয়,ডি এন এ (DNA) এর সমন্বয়ে।প্রতিটি ডি এন এ নির্মিত হয় ৬০০ হতে কয়েক লক্ষ ‘নিউক্লিওটাইড’ এর সমন্বয়ে। প্রতিটি নিউক্লিওটাইড নির্মিত হয় ,একটি ৫ কার্বন বিশিষ্ট (রিবোজ ) চিনি,একটি ক্ষারীয় প্রোটিন পিউরিন বা পাইরিডিমিন ও একটি ফসফরিক এসিড এর সমন্বয়ে। কম্পিউটারের আইসি (IC) এর ধারণা তৈরি হয়েছে, মানব দেহের নিউক্লিওটাইডের আদলে। কম্পিউটার সকল তথ্য সংরক্ষনের এর ইউনিট হচ্ছে ‘আইসি’। তেমনি মানব কোষের প্রাণ রাসায়নিক কাজের ইউনিট হচ্ছে ‘নিউক্লিওটাইড’।
এই নিউক্লিওটাইডের উপকরন গুলি ও তৈরি হয় প্রকৃতিতে। প্রকৃতির খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমেই প্রতি মুহূর্তে উপাদান গুলি দেহ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং নিয়মাফিক নিউক্লিওটাইড এর ভাঙ্গন ও পূর্ণগঠন চলে। নিউক্লিওটাইডের ভাঙ্গন এর চেয়ে যদি পূর্ণগঠন কম হয়, তখনেই মানুষ রোগে আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।
নিন্ম উল্লেখিত কারনে ‘নিউক্লিওটাইড ’এর ভাঙ্গন বেশী হয়:
১> সব ধরনের বিকিরন। যেমন,এক্স-রে, বেতার তরঙ্গ।
২> প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট। যেমন,বেরিয়াম টেষ্ট,এম আর আই,পেট স্ক্যান,সব ধরনের ‘স্কোপি’।
৩> ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ;ক্যামোথ্যারাপি ও রেডিওথেরাপি।
৪> কিছু বিশেষ ধরনের ড্রাগ। যেমন,এমটিএক্স (গঞঢ).
৫> অত্যন্ত শারিরীক ও মানসিক উত্তেজনা।
৬> বার্ধক্যজনিত কারণ।
৭> ত্র“টিপূর্ন খাদ্যগ্রহণ।যেমন,অধিক রান্না,রাসায়নিক সার ও প্রিজারবেটিভ।
৮> প্রতিদিন পরিমান মত ‘পুষ্টি’ না গ্রহণ।
৯> কিছু ধরনের জীবান্ ু।যেমন, ভাইরাস।
১০> ত্রুটি পূর্ন কোষ বিভাজন।
‘
নিউক্লিওটাইড’এর পূর্নগঠনে ‘এডাপটো-মেডিসিনের’ ক্ষমতা:
এ্যাডাপটোমেডিসিন কি ভাবে কাজ করে:
এ্যাডাপটো-মেডিসিন মূলতঃ দেহ কোষের মধ্যে কাজ করে।একটি দেহ কোষ এর বাহিরের কাঠামো বিশ্লেষন করে দেখা গেছে যে,এটি লিপিড,প্রোটিন ও লিপিড এর সমন্বয়ে তিন স্তর বিশিষ্ট একটি পর্দা কোষের ভিতরের অঙ্গানুগুলো ও লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। কোষের ভিতরের রাসায়নিক পদার্থ গুলো বিশ্লেষন করে দেখা গেছে ,এগুলো গ্লুকোজ,এ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিডের ,ভিটামিন,মিনারেল ও পানির সমাবেশ ছাড়া অন্য কিছু নয়।আবার উল্লেখিত প্রতিটি যৌগ কে বিশ্লেষন করলে সোডিয়াম (Na), পটাসিয়াম(K), হাইড্রোজেন(H),অক্সিজেন(O),ফসফরাস(P),আয়োডিন(I),ক্লোরিন(Cl),নাইট্রোজেন(N),ক্যালসিয়াম (Ca),সহ ডজন খানিক মৌলিক পদার্থ। কোষের লক্ষ লক্ষ জৈব রাসায়নিক কাজের সবটায় সম্পাদিত হয়, এ সমস্ত উপাদান গুলির সমন্বয়ে।
যেমন,পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরির কাজ করে যে কোষ গুলো, সে কোষ গুলোর নাম হলো “পেরিয়েটাল সেল”। এই কোষ গুলো পানি হতে হাইড্রেজেন(H),লবন(Nacl) হতে ক্লোরিন(Cl) গ্রহণ করে বিশেষ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) তৈরি করে। এ্যাডাপটো-মেডিসিন কোষের দৈহিক স্বাস্ব্য এবং জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ কারী সকল উপাদান সঠিক ভাবে সরবরাহ করে।
কিং এ্যাডাপটো-মেডিসিন:
গ্যানোডার্মা লুসিডাম (মাশরুম):
এক ধরনের ঔষূধী লাল মাশরুম । জৈব রাসায়নিক বিশ্লেষনে ,এর মধ্যে ৪০০ এর মত প্রাকৃতিক জৈব রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত হয়েছে। ৬৫টি পলিস্যাকারাইড,অর্গানিক জার্মানিয়াম, এডিনোসিন, ট্রাইটারপেনয়েডস+গ্যানোডারিক এসিড ১৫০টি এবাং বাকী গুলো এ্যামাইনো এসিড, গ্লুকোজ, ফ্যাটি এসিড
,ভিটামিন,মিনারেল।
কার্যকারিতা:
প্রতিটি জৈব রাসায়নিক পদার্থের ,দেহ কোষের উপর কার্যকারীতা ক্লিনিক্যাল নীরিক্ষার মাধ্যমে প্রমানিত।
পলিস্যাকারাইড:
পলিস্যাকারাইড হচ্ছে, ডি-গ্লুকোজের বিশাল চেইন যা,প্রকৃতির প্রতিটি গাছ এটি তৈরি করে।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ,ইমিউন থেরাপীষ্টগন ,পলিস্যাকারাইডকে ‘ইমিউন মডুলেটর’ হিসাবে ব্যবহর করেন। গ্যানোডার্মা লুসিডাম এ নিহিত বিটা গ্লুকান (পলিস্যাকারাইড) ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরিতে পলিস্যাকারাইড ড্রাগ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।এক কথায় জীবানু নাশক উদ্দীপনা তৈরিতে পলিস্যাকারাইড এর কার্যকারীতা চিকিৎসা বিজ্ঞান কতৃত প্রমানিত। দেহের প্রতিটি কোষকে জীবানু মুক্ত রাখতে পলিস্যাকারাইড এর উপস্থিতি অপরিহার্য।
অর্গানিক জার্মানিয়াম:
এটি একটি খনিজ পদার্থ যা, কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ ও ঝরনার পানিতে পাওয়া যায়।মাটিতে পাওয়া অজৈব জার্মানিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি একটি অর্ধপরিবাহী ধাতু যা,বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত হয়।এর পারমানবিক সংখ্যা ৩২। এর সর্বশেষ কক্ষে ৪টি মুক্ত ইলেকট্রন থাকায় অতি সহজেই ,দেহ মধ্যে উৎপাদিত মুক্ত আয়ন(ফ্রী রেডিক্যল) গুলোকে গ্রহণ অথবা প্রদান করে ,দেহ ব্যবস্থায় অম্লীয় ও ক্ষারীয় সাম্য প্রতিষ্ঠা করে।
গবেষনায় দেখা গেছে,মানুষের দেহ সামান্য ক্ষারীয় অবস্থায় জৈব রাসায়নিক কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে। ক্যানসার গবেষনায় প্রমানিত যে, ক্যানসার কোষ অম্লীয় অবস্থায় থাকে।ফলে ক্যানসার কোষের জৈব রাসায়নিক কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয় এবং ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে (মেটাসটেসিস)সাহায্য করে।অর্গানিক জার্মানিয়াম ক্যানসার কোষের অতিরিক্ত মুক্ত আয়ন গ্রহণ করে ,ক্যনসার কোষের মেটাসটেসিস বন্ধ করে। তাই ক্যানসার চিকিৎসায় এর ব্যবহার এ ইউ এস ক্যানসার সোসাইটির স্বীকৃতি আছে।
জাপানী প্রকৌশলী চিকিৎসক ডাঃ কাইজুহাইকী আশাইই ,সর্বপ্রথম ঝরনার পানি হতে এই অর্গানিক জার্মনিয়াম আবিষ্কার করেন এবং এর পেটেন্ট লাভ করেন।তিনি জাপানে অর্র্গানিক জার্মানিয়াম নামে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন যার চিকিৎসার প্রধান উপাদান অর্গানিক জার্মানিয়াম।
প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ‘গ্যানোডার্মা লুসিডাম ’ এ সর্বাধিক পরিমানে অগানিক জার্মানিয়াম (১-৫%)আবি®কৃত হয়েছে।
এডিনোসিন:
এডিনোসিন একটি জৈব যৌগ যা,মানব কোষের একটি অপরিহার্য উপাদান।এটি একটি পিউরিন নিউক্লিউটাইড যা, কোষের ডিএনএ এর একটি উপাদান।একটি প্রোটিন এডিনিন,একটি রিবোজ (৫ কার্বন বিশিষ্ট) সুগার,একটি ফসফরিক এসিড। কোষের ডিএনএ হচ্ছে ক্রমোজমের অংশ যা,বংশগতির ধারক ও বাহক। ডিএনএ দেহ ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন,এনজাইম এবং এন্টিবডির তৈরির গোপন সংকেত ধারন করে।এ ছাড়া কোষের অফুরন্ত শক্তি তৈরির জ্বালানীর উৎস হচ্ছে ‘এডিনোসিন’ এটিপি।
এক ধরনের হার্টের রোগীদের ‘এডিনেসিন’ ড্রাগ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের কার্ডিয়াক সেন্টারে ‘সুপ্রভেন্ট্রিকিউলার ট্রাকিকার্ডিয়া’ এসভিটি রোগিদের এডিনোসিন ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে। এডিনোসিন হৃদপিন্ডের রক্ত নালীর সম্প্রসারন ঘটিয়ে হৃদপেশির স্পন্দন বাড়িয়ে দেয়।হার্টের সাইনাস নোডে উত্তেজনা তৈরি করে,হার্ট বল্ক রোগীদের হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক কাজ ফিরিয়ে দেয়।
ফুসফুসের পালমোনারী ধমনীর চাপ কমানোর জন্য এডিনোসিন ব্যবহৃত হয়।
এডিনোসিন লিভার এর গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে গ্লুকোজ তৈরি এবং দেহ চর্বি ভাঙ্গন রোধ করে গ্লুকোজ গ্রহণ বৃদ্ধি করে। ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন হয়।
এডিনোসিন স্টেরয়েড হরমোন নিঃসরন বৃদ্ধি করে, ফলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়।
প্রতিাট জীব কোষ প্রকৃতির খাদ্য হতে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করে। আর এই রাসায়নিক শক্তিই এডিনোসিন ট্রাই ফসফেট (এটিপি)।সমস্ত জীব জগতের সকল বৈচিত্রময় সৃষ্টি ও কাজের পেছনে যে রাসায়নিক শক্তি কাজ করে ,সেই রাসায়নিক শক্তির মূল জ্বালানি হচ্ছে ‘ গ্লুকোজ ’যা প্রকৃতির উদ্ভিদ রাজী প্রতিনিয়ত সূযের্র আলো এবং বাতাস থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড
গ্রহনের মাধ্যমে বিশেষ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রস্তুত করে থাকে।
ট্রাইটারপেনয়েডস:
ট্রাইটারপেনয়েডস হচ্ছে ,ফাইটোক্যামিক্যালস
এর একটি বড় গ্রপ।এটি হাইড্রোজেন ও কার্বনের একটি বড় যৌগ।ফাইটোক্যামিক্যল হচ্ছে, প্রাকৃতিক রাসায়নিক পদার্থ যা,উদ্ভিদে জন্মায়। প্রায় ২০,০০০ এর বেশী টাইটারপনেয়েডস প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। গ্যানোডার্মা মাশরুম এ ১০০এর বেশি ধরনের ,১-৫% ট্রাইটারপেনয়েডস আছে। ক্লিনিক্যল ট্রায়ালে জানা গেছে, এটি এন্টিইনফ্লামমেন্টরী, এন্টিএনালজেসিক,লিভারপ্রটেক্টর , কার্ডিওটনিক , সিডেটিভ, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিব্যাকটেরিয়াল , এন্টিভায়রাল, এন্টিএলারজিক ,এন্টিটিউমার
, এন্টিক্যানসার।
ব্রেস্টক্যানসার এবং ক্যামোপ্রিভেনশান এর চিকিৎসায় ট্রাইটারপেনয়েডস এর কার্যকারীতার
উপর ব্যাপক গবেষনা পরিচলিত হয়েছে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভারসিাট অব ওকালহোমা এর অনকোলজি সেন্টারে।এবং ক্যানসার প্রতিরোধে প্রাকৃতিক ট্রাইটারপেনয়েডস এর
কার্যকারীতার ফলাফল বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করেছে।
গ্যানোডারিক এসিড:
গ্যানোডার্মায় ১২ ধরনের এসিড শনাক্ত হয়েছে।এর গঠন অনেকটা ট্রাইটারপেনয়েডস এর মত।বায়োলজিক্যল এগুলি লিভারপ্রটেক্টটর, এন্টিটিউমার এজেন্ট এবং ৫-আলফা রিডাকটেজ প্রতিরোধক। ৫-আলফা রিডাকটেজ প্রতিরোধক যা , পিত্তলবন সংশ্লেষন ,এনড্রোজেন,এস্ট্রোজেন মেটাবলিজম এবং প্রোসথেটিক ক্যনসার প্রতিরাধ করে।
এডাপটোমেডিসিন
‘ স্পাইরুলিনা
’ :
জেনেরিক নাম এবং ট্রেড নাম:স্পাইরুলিনা
এক ধরনের সামুদ্রীক শৈবাল ,যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। এটির আনুমানিক বয়স ৩.৫০বিলিয়ন বৎসর।ধারণা করা হচ্ছে , পৃথিবীর প্রথম প্রানের অস্তিত্বের
প্রকাশ ঘটে এধরনের এক কোষি শৈবাল সৃষ্টির মাধ্যমে।প্রাণরাসায়নিক বিশ্লেষনে প্রায় ৩০০ এর ও বেশি জৈব রাসায়নিক উপাদান আবি®কৃত হয়েছে। প্রধান রাসয়ানিক উপাদান হচ্ছে;
এ্যামাইনো এাসিড ,গ্লুকোজ,ফ্যাটি এসিড,ভিটামিন ও মিনারেল।এ পর্যন্ত গবেষনার ফলাফল হতে জানা গেছে,স্পাইরুলিনা হচ্ছে সবেেচয়ে বেশি এ্যামাইনো এসিড,ভিটামিন,মিনারেল এর প্রাকৃতিক ভান্ডার। যা মানব দেহ কোষের প্রধান তিনটি পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয় এবং কোষের প্রধান প্রধান অসুস্থ্যতা সাড়িয়ে তোলে।দেহ কোষের ৬টি পুষ্টির অন্যতম প্রধান পুষ্টি ‘এ্যামাইনো এসিড’। এই এ্যামাইনো এসিড ছাড়া কোষ বাঁচতে পারেনা। ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে অসংখ্য রোগের কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান
নিশ্চিত করেছে।
গবেষনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, দেহ কোষ সামান্য ক্ষারীয় অবস্থায় স্বুস্ব্য থাকে। স্পাইরুলিনা একটি সেরা ‘ক্ষারীয় খাদ্য ’ হিসাবে চিকিৎসা বিজ্ঞান কতৃক স্বীকৃত।নিয়মিত স্পাইরুলিনা সেবনে দেহ কোষের ক্ষারীয় পরিবেশ
বজায় থাকে,কোষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট থাকে।
মরিন্ড্রি সিট্রিফোলিয়া (ননি ফল):
ননি ফল প্রাচীন ভারতের সুপরিচিত একটি আর্য়ুরবেদীক ঔষুধ। বৈজ্ঞানিক নাম মরিন্ড্রি সিট্রিফোলিয়া। হাজার হাজার বৎসর ধরে এই ফলটি রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে।আধুনিক প্রাণরাসায়নিক গবেষনায় জানা গেছে এতে ১৫০+এর অধিক প্রাণ রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।
ননি ফলে প্রোজেরোরিন নামে একটি জৈব যৌগ আছে ।দেহের লিভার কোষ
গুলো এই উপাদান তৈরি করে। প্রজেরনিনের প্রধান কাজ হচ্ছে ,লিভার কোষে তৈরি কিছু ধরনের প্রোটিন বহন করে দেহের
অন্যান্য কোষে পৌছে দেয়।বয়স বাড়ার সাথে সাথে লিভার কোষে এই প্রজেরনিন তৈরি করার ক্ষমতা কমতে থাকে । তাই বয়স্ক লোকদের প্রতিদিন পরমিান মত এই ফল খাওয়া উচিত।
> ‘প্রজেরনিন‘ ব্যাথানাশক এবং অবশকারক হিসাবে কার্যকর।
> ১৯৯৩ সালে ডা: রাল্ফ গবেষনা চালিয়ে ননির মধ্যে বিদ্যমান ‘ড্যামনাক্যানন্থল” আবিষ্কার করেন।ড্যামনাক্যান্থল প্রি-ক্যান্সার কোষগুলিকে স্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির সুচনা ঘটায়।
> রকফোর্ড ইউনিভারসিটি অফ ইলিনয় কলেজের এক গবেষনায় প্রমানিত যে,ননি ৫০% ফুসফুস,৬০%হৃদযন্ত্র,৭০%যকৃত, ৯০%কিডনি ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কমায়।
উপরিউক্ত বিস্তারিত আলোচনা থেকে বুঝা যায় য়ে ,দেহ কোষ জীবানু ,টক্সিন বা ফরেইন ম্যাটার দ্বারা আক্রান্ত হলে,প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যেহেতু,দেহ কোষ নিদিষ্ট এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে সব ধরনরে ফরেইন ম্যাটার কে ধ্বংশ করে, সেহেতু ঐ নির্দিষ্ট এন্টিবডি উৎপাদনের নির্দেশকারী ডিএনএর (DNA) একক নিউক্লিওটাইড নষ্ট হলে, নির্দিষ্ট এন্টিবডি তৈরি হয় না। ফলে আক্রমনকারী বর্হিশত্র“ দ্বারা দেহে প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
এন্টিবেিয়াটিক থেরাপির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া হত্যা সম্ভব হলেও ,নিউক্লিওটাইডের পূর্ণগঠন সম্ভব নয়। আর যতক্ষন নিউক্লিওটাইড পূর্নগঠন হবে না ততক্ষন স্থায়ী ভাবে প্রদাহ হতে মুক্তির কোন সুযোগ নেই।
সুতরাং এন্টিবায়োটিক থেরাপি সাময়িক সমাধান দিতে পারে,আর স্থায়ী সমাধান দিতে পারে ‘ এডাপটো-মেডিসিন’।
-------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment