ফসফরাস:
ফসফরাসের পরিচিতি:
এটি রাসায়নিক মৌলিক অধাতু পদার্থ। এর রাসায়রিক প্রতীক চ , আণবিক সংখ্যা ১৫। এটি অজৈব ফসফেট অবস্থায় ভূপৃষ্টের পাথরে সংরক্ষিত থাকে। মুক্ত মৌলিক পদার্থ হিসাবে এটি পৃথিবীতে পাওয়া যায় না।
দেহ কোষে ফসফরাসের কাজ:
১/ হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম এর সাথে ফসফরাসের প্রয়োজন হয়।
২/ জৈব ফসফেট মধ্যবর্তী বিপাক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
৩/ ফসফোলিপিড লেসিথিন, সেফালিন, স্ফিংগোমায়েলিন, নিউক্লিক এসিড, ফসফোপ্রোটিন কোষের অপরিহার্য অংশ।
৪/ ক্রিয়াটিন ফসফেট ও এটিপি গঠনের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে।
৫/NADP , ADP , AMP কো-এনজাইমগঠন করে।
৬/ কোষের ক্ষার ও এসিডের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৭/ গ্লুকোজ ও ফ্যাট শোষনে কাজ করে।
ফসফরাসের উৎস:
কলিজা , মাছ , ডিম , বাদাম , দুধ।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
৮০০-১০০০ মি:গ্রাম।
ফসফরাসের শোষন:
অজৈব ফসফেট হিসাবে এটি অন্ত্রে শোষিত হয়। ক্ষার ফসফরাস শোষন ব্যাহত করে। অম্ল এবং চর্বি ফসফরাস শোষনে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস শোষন বিঘœ ঘটায়।
সোডিয়াম:
সোডিয়ামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি রাসায়নিক মৌলিক ধাতু পদার্থ। এর প্রতীক ঘধ, আণবিক সংখ্যা-১১। নরম, রোপ্য-সাদা অতি ক্রীয়াশীল ক্ষারীয় ধাতু। প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় এটি পাওয়া যায় না।
দেহ কোষে সোডিয়ামের কাজ:
১/ অম্ল ও ক্ষার এর ভারসাম্য রক্ষার জন্য ক্লোরাইড ও বাইকার্বনেট এর ব্যাবস্থাপনায় কাজ করে।
২/ এটি দেহের অসমোটিক প্রেসার ঠিক রাখে যাতে দেহের তরল পদার্থের সাম্যবস্থায় রক্ষা হয়।
৩/ সোডিয়াম আয়ন অন্ত্রে গ্লুকোজ ,গ্যালাকটোজ , এমাইনোএসিড শোষনে সাহায্য করে।
৪/ পেশির স্নায়বিক উত্তেজনা পরিবহন করে।
৬/ এটি হৃদপেশির সপ্দন ও সংকোচন ব্যবস্থায় প্রয়োজন হয়।
এর অভাবজনিত রোগ:
এর অভাবে অরুচি ,গা বমি বমি , মাথাঘোরা, মানসিক দুর্বলতা , মাংশপেশির দুর্বলতা , পেশির খিঁচুনি, শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়।
সোডিয়ামের উৎস:
টেবিল সল্ট এটির প্রধান উৎস।
বেশি সোডিয়াম: নোনতা বিস্কুট, নোনা মাছ , পনির , আচার।
কম সোডিয়াম: মাংশ, বেগুন, শিম, শসা, ফল, দূধ।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
৫-১৫ গ্রাম।
শোষন ও রক্তে এর ভারসাম্য:
কিডনির এড্রেনাল গ্ল্যান্ডের হরমোন ‘এলডোসটেরন’ রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে। এলডোসটেরন নিঃসরন বন্ধ থাকলে দেহে সোডিয়াম ও পানি শূন্যতা দেখাদেয়। অতিরিক্ত ‘এলডোসটেরন’ নিঃসরন দেহে সোডিয়াম ও পানির সঞ্চয় বৃদ্ধি করে এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। সোডিয়াম বৃদ্ধির
কারনে হৃদপেশির স্পন্দন ও সংকোচন বৃদ্ধি পায়।
পটাশিয়াম:
পটাসিয়ামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
একটি রাসায়নিক মৌলিক ধাতু পদার্থ। রাসায়নিক প্রতীক K , আণবিক সংখ্যা-১৯।
নরম, রোপ্য-সাদা , ক্ষারীয় ধাতু। বাতাসে দ্রত জারিত হয়। পানির উপস্থিতিতে দ্রুত সক্রিয় হয়। প্রকৃতিতে আয়নিক লবন অবস্থায় পাওয়া যায়।
পটাশিয়ামের কাজ:
১/ এটি কোষের অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
২/ কোষ অভ্যন্তরস্থ অসমোটিক চাপ রক্ষা করে।
৩/ হৃদ পেশির স্পন্দন এর জন্য এটির দরকার হয়। পটাসিয়াম বেড়ে গেলে হৃদ স্পন্দন কমে যায়। পটাশিয়াম কমে গেলে হৃদপেশির দুর্বলতা বাড়ে ,দ্রুত শ্বাস গ্রহণ বৃদ্ধি পায়।
৪/ পটাশিয়াম কোষ গঠনের জন্য অপরিহার্য। কোষের ভিতর ইহাই প্রধান ধন্যাত্মক আয়ন।
৫/ কোষ মধ্যে পটাশিয়াম আয়ন বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়া বাড়াইয়া দেয়। দেহের বিপাক ক্রিয়ার বহু ক্ষেত্রেই এই জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন।
দেহে এর ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে:
মাংশ পেশির দুর্বলতা ,পরিপাক তন্ত্রে গন্ডগোল , হৃদপিন্ডের স্পন্দনে অনিয়ম, শ্বাস কষ্ট হয়।
খাদ্যে পটাশিয়াম এর উৎস:
বেশি পটাশিয়াম যুক্ত খাদ্য: কফি ,কেকো , রুটি, চাউল , দুধ , মাছ , মাংশ , ডাল , বাদাম ফুলকপি , শাকশবজি ,আ্লু , গাজর।
কম পটাশিয়াম যুক্ত খাদ্য: ডিম , পনির , মাখন , ভোজ্যতৈল , চিনি , জেলি।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
৪ গ্রাম।
শোষন প্রক্রিয়া:
অন্ত্রে সোডিয়াম ও
ক্লোরাইডের সাথে পটাশিয়াম ও শোষিত হয়। কিডনির এড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হরমোন ‘এলডোসটেরন’ দেহের পটাসিয়াম ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে। অতিরিক্ত ‘এরডোসটেরন’ নিঃসরন দেহে পটাসিয়াম এর পরিমান বৃদ্ধি করে। ‘এরডোসটেরন’ নিঃসরন বন্ধ হলে দেহে পটাসিয়াম এর অভাব দেখা দেয়।
বিভিন রোগ অবস্থায় যতটুকু পটাশিয়াম প্রয়োজন নিন্মের র্চাট দেখে তা নির্ধারন:
How
much potassium does fruit contain?
The amount of potassium in
milligrams (mg) contained in each fruit or serving of fruit is listed beside
the item.
- High-potassium foods (more than 200 mg per serving):
- 1 medium banana (425)
- ½ of a papaya (390)
- ½ cup of prune juice (370)
- ¼ cup of raisins (270)
- 1 medium mango (325) or kiwi (240)
- 1 small orange (240) or ½ cup of orange juice (235)
- ½ cup of cubed cantaloupe (215) or diced honeydew melon (200)
- 1 medium pear (200)
- Medium-potassium foods (50-200 mg per serving):
- 1 medium peach (185)
- 1 small apple or ½ cup of apple juice (150)
- ½ cup of peaches canned in juice (120)
- ½ cup of canned pineapple (100)
- ½ cup of fresh, sliced strawberries (125)
- ½ cup of watermelon (85)
- Low-potassium foods (less than 50 mg per serving):
- ½ cup of cranberries (45) or cranberry juice cocktail (20)
- ½ cup of nectar of papaya, mango, or pear (35)
How
much potassium do vegetables contain?
- High-potassium foods (more than 200 mg per serving):
- 1 medium baked potato, with skin (925)
- 1 baked medium sweet potato, with skin (450)
- ½ cup of tomato or vegetable juice (275), or 1 medium raw tomato (290)
- ½ cup of mushrooms (280)
- ½ cup of fresh brussels sprouts (250)
- ½ cup of cooked zucchini (220) or winter squash (250)
- ¼ of a medium avocado (245)
- ½ cup of broccoli (230)
- Medium-potassium foods (50-200 mg per serving):
- ½ cup of corn (195)
- ½ cup of fresh or cooked carrots (180)
- ½ cup of fresh cauliflower (150)
- ½ cup of asparagus (155)
- ½ cup of canned peas (90)
- 1 cup of lettuce, all types (100)
- ½ cup of fresh green beans (90)
- ½ cup of frozen green beans (85)
- ½ cup of cucumber (80)
How
much potassium is in protein foods?
- High-potassium foods (more than 200 mg per serving):
- ½ cup of cooked pinto beans (400) or lentils (365)
- 1 cup of soy milk (300)
- 3 ounces of baked or broiled salmon (319)
- 3 ounces of roasted turkey, dark meat (250)
- ¼ cup of sunflower seeds (241)
- 3 ounces of cooked lean beef (224)
- 2 tablespoons of smooth peanut butter (210)
- Medium-potassium foods (50-200 mg per serving):
- 1 ounce of salted peanuts, almonds, and cashews (200)
- 1 large egg (60 mg)
How
much potassium is in dairy foods?
- High-potassium foods (more than 200 mg per serving):
- 6 ounces of yogurt (260-435)
- 1 cup of nonfat, low-fat, or whole milk (350-380)
- Medium-potassium foods (50-200 mg per serving):
- ½ cup of ricotta cheese (154)
- ½ cup of vanilla ice cream (131)
- ½ cup of low-fat (2%) cottage cheese (110)
- Low-potassium foods (less than 50 mg per serving):
- 1 ounce of cheese (20-30)
What
other foods contain potassium?
- 1 tablespoon of molasses (295)
- 1½ ounces of chocolate (165)
আয়রন
আয়রনেরে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি একটি রাসায়নিক মৌলিক পদার্থ। রাসায়নিক প্রতীক Fe , আণবিক সংখ্যা-২৬। এটি ভূ-পৃষ্টের সাধারন মৌল।
আয়রন এর কাজ :
১/ রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে এটি অপরিহার্য উপাদান।
২/ রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে কোষে কোষে পৌঁছে দেয়।
৩/ পেশির মাইয়োগ্লোবিন ও কোষের শ্বষন এনজাইম এর অংশ।
৪/ সকল কোষে সামান্য পরিমান লৌহ পাওয়া যায়।
৫/ দেহের মোট সঞ্চিত লৌহের ৭০ শতাংশ হিমোগ্লোবিনে থাকে।
৬/ ২০ শতাংশ লৌহ কোষে সঞ্চিত থাকে।
এর অভাবজনিত রোগ:
এর অভাবে দেহে লাল রক্ত তৈরি হতে পারে না। লাল রক্তের প্রধান কাজ হচ্ছে দেহের কোষে কোষে ‘অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দেয়া। অক্সিজেন ও পুষ্টি ব্যাতিত কোষ বাঁচতে পারে না। একই ভাবে লাল রক্ত দেহের প্রতিটি কোষ এর সৃষ্ট বর্জ বহন করে ‘ফুসফুস’ ও ‘কিডনি’ তে পৌঁছে দেয়। লাল রক্তের অভাবে কোষের বর্জ অপসারনে বিঘœ ঘটে এবং কোষ রোগে আক্রান্ত হয়।
খাদ্যে আয়রনের উৎস:
১০০ গ্রাম চিড়া = ২০ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম = ১০.২ মি: গ্রাম।
১০০ গ্রাম আটা = ১১.৫ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম কালো কচু শাক = ৩৮.৭ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম ধনে পাতা = ১৮.৫ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম ডাটা শাক = ২৫.৫ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম পালং শাক = ১০.৯ মি:গ্রাম।
১০০ গ্রাম মুগডাল = ৮.৫ মি:গ্রাম।
দেহে প্রতিদিন আয়রনের প্রয়োজন:
পুরুষ:১০ মি:গ্রাম।
স্ত্রী: ১৮ মি:গ্রাম
অন্ত্রে আয়রনের শোষন:
অন্ত্রে আয়রনের শোষন অত্যন্ত ধীর গতিতে হয় । দিনে কয়েক মিলিগ্রাম এর বেশি হয় না।
মাংশের হিমোগ্লোবিন ও মাইয়োগ্লোবিন সরাসরি অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তের ‘ট্রান্সফ্যারিন’ প্রোটিন এর সাথে মিলিত হয়ে রক্ত স্রোতে বাহিত হয়। রক্তের অতিরিক্ত আয়রন কোষ মধ্যস্থ্য প্রোটিন ‘ফ্যারিটিন’ সাথে যুক্ত হয়ে কোষে সঞ্চিত হয়। দেহের প্রয়োজন অনুসারে এই সঞ্চিত ফ্যারিটিন ভেঙ্গে রক্তে প্রবাহিত হয়। দেহ কোষে কিছু অদ্রবনীয় আয়রন সঞ্চিত হয় যা রক্ত স্রোতে আসতে পারে না। এই অদ্রবনীয় আয়রন কে ‘হেমোসিডেরিন’ বলে। অতিরিক্ত হেমোসিডেরিন দেহ কোষে এর মারাত্মক রোগ তৈরি করে।
রক্তের
‘ট্রান্সফ্যারিন’ (দ্রবনীয় আয়রন
যুক্ত প্রোটিন) মেরুমজ্জার (বোন ম্যারো) কোষ প্রাচীর (ইরাইথ্রোব্লাস্ট) এর সাথে সংযুক্ত হয়। ট্র্যান্সফ্যারিন সরাসরি কোষ মধ্যে প্রবেশ করে। এবং সর্বশেষ কোষের ‘মাইটোকন্ড্রিয়ায়’ আয়রন যুক্ত হয়। এই মাইটোকন্ড্রিয়াতেই ‘হিমোগ্লোবিনের’ ‘হিম’ অংশ সংশ্লেষিত হয়।
পাকস্থলীর অম্ল ( এসিড) আয়রন শোষনে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ফসফেট এবং খাদ্য শষ্যের ফাইটিক এসিড আয়রন শোষনে বাঁধা তৈরি করে। খাদ্যের ফেরিক (আয়রনের একটি অবস্থা) জারিত হয়ে ফেরাস এ পরিণত হওয়ার পর অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়। ভিটামিন-সি ও সালফার যুক্ত এমাইনোএসিড আয়রন জারিত (অক্সিডেশন) করে এবং
শোষনে সাহায্য করে।
সালফার
সালফার এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি একটি রাসায়নিক মৌলিক পদার্থ। রাসায়নিক প্রতীক ঝ , আণবিক সংখ্যা-১৬। প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় সালফার অবস্থান করে।
সালফার এর কাজ:
১/ এটি প্রোটিন ক্যারাটিন এর অপরিহার্য অংশ। নখ , চুল
ক্যারোটিন দিয়ে তৈরি।
২/ দেহের অপরিহার্য কিছু যৌগ তৈরিতে সালফার এর উপস্থিতি প্রয়োজন হয়। যেমন,ইনসুলিন , কো-এনজাইম এ , গ্লুটাথায়ন, থায়মিন, বায়োটিন, সালফোলিপিড , প্রভৃতি।
অভাবজনিত রোগ:
এর অভাবে নখ ও চুলের গঠন ব্যাহত হয়। দেহের অপরিহার্য
যৌগ গঠনে বিঘœ ঘটে।
খাদ্যে সালফারের উৎস:
সালফার যুক্ত এমাইনোএসিড যেমন, সিসটেইন এবং সিসটিন এবং মেথিওনিন প্রধান উৎস।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
২.৫মি:গ্রাম।
অন্ত্রে সালফারের শোষন:
খাদেক্ষ সালফার অন্ত্রে অজৈব ফসফেটে বুপান্তরিত হয়ে শোষিত হয়্।
Foods
high in Sulphour
- artichokes, Jerusalem but not French
- asparagus
- bakery products containing whey, cysteine, eggs or enzymes
- bean curd/tofu milk
- bean sprouts
- beans of all sorts
- bok choy
- broccoli
- brussels sprouts
- buckwheat
- cabbage
- carob
- cauliflower
- cheese of all sorts
- chives
- chocolate
- coffee
- collard greens
- cream
- daikon
- dairy products
- eggs
- garlic
- green beans
- greens
- horseradish
- jicama
- kale
- leeks
- lentils of all sorts
- milk from any animal
- miso soup
- onions
- papaya (slightly)
- peas
- peanuts
- pineapple (slightly)
- radishes
- rutabaga
- sauerkraut
- shallots
- sour cream
- soy cheese
- soy milk
- spinach
- split peas
- tempeh
- tofu
- turnip
- turmeric (though not high in thiols, it is really good at raising thiol levels)
- quinoa
- whey
- yeast extract
ক্লোরিন:
ক্লোরিন এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি একটি রাসায়নিক মৌল। এর প্রতীক Cl, আণবিক সংখ্যা-১৭। ঋর্ণান্মক আধান। মুক্ত ক্লোরিন পৃথিবীতে পাওয়া যায় না।
১/ অম্ল ও ক্ষারের সাম্য রক্ষা করে। এটি দেহের প্রধান ঋন্যাত্মক আয়ন।
২/ দেহের পানি সাম্য এবং অসমোটিক চাপ ঠিক রাখে। গ্যাসট্রিক জুস , হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরির জন্য এর প্রয়োজন হয়।
অভাবজনিত সমস্যা:
দেহের ধন্যাত্মক ও ঋর্নাত্মক আধনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
এর প্রধান উৎস: টেবিল সল্ট।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
১০-২০গ্রাম।
আয়োডিন:
আয়োডিনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এই রাসায়নিক মৌলের প্রতীক ও, আণবিক সংখ্যা-৫৩। এটি বেগুণি রং এর পদার্থ। প্রকৃতিতে আয়োডাইড হিসাবে পাওয়া যায়।
আয়োডিনের কাজ:
এটির প্রধান কাজ থাইরক্সিন
হরমোন তৈরি করা। এটির অভাব ঘটলে ‘থাইরয়েড গ্ল্যান্ড’ উত্তেজিত হয় এবং ফুলে
উঠে। একেই গলগন্ড বলে।
দেহে থাইরক্সিন এর কাজ:
দেহের বিপাক কাজ কে নিয়ন্ত্রন করে। দেহের তাপ উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করে। অস্থি , চুল ও চর্মের
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়। মস্তিষ্ক এর ঘঠন , বয়োসন্ধিকালে নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক পরিবর্তন। গর্ভ রক্ষনা বেক্ষন, স্তন্যদাত্রী মাতার দুগ্ধ উৎপাদন করাও এই হরমোনের দায়িত্ব।
খাদ্যে আয়োডিনের উৎস:
সামুদ্রীক মাছ , সমুদ্র তীরবর্তী জন্ম নেয়া ফসলাদি , আয়োডিন যুক্ত লবন।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
১৫০মাইক্রোগ্রাম (১ চা চামচের ২০,০০০ হাজার ভাগের ১ভাগ)। সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সাড়া জীবনে ১ চা চামচ এর ও কম আয়োডিনের প্রয়োজন হয়।
আয়োডিনের শোষন:
অন্ত্রে আয়োডিন শোষিত হয়। তা ছাড়া মিউকাস স্তর ও চর্মের মাধ্যমে আয়োডিন শোষিত হয়।
Select Food Samples for Iodine
Content
Please note that other than dried seaweed and fortified salt the concentrations of iodine in these foods can vary widly and this table should be taken as a rough guide.
Please note that other than dried seaweed and fortified salt the concentrations of iodine in these foods can vary widly and this table should be taken as a rough guide.
Food
|
Serving Size
|
Iodine
|
Dried Seaweed
(Buy from Amazon.com) |
1/4 ounce
|
>4,500µg (4.5 mg) (3000% DV)
|
Cod
|
3 ounces*
|
99µg (66% DV)
|
Iodized Salt (Fortified)
|
1 gram
|
77µg (51% DV)
|
Baked Potato with peel
|
1 medium
|
60µg (40% DV)
|
Milk
|
1 cup (8 fluid ounces)
|
56µg (37% DV)
|
Shrimp
|
3 ounces
|
35µg (23% DV)
|
Fish sticks
|
2 fish sticks
|
35µg (23% DV)
|
Turkey breast, baked
|
3 ounces
|
34µg (23% DV)
|
Navy beans, cooked
|
1/2 cup
|
32µg (21% DV)
|
Tuna, canned in oil
|
3 ounces (1/2 can)
|
17µg (11% DV)
|
Egg, boiled
|
1 large
|
12µg (8% DV)
|
*A three-ounce serving of meat is
about the size of a deck of cards.
Source: Linus Pauling Institute Article on Iodine
Source: Linus Pauling Institute Article on Iodine
জিংক
জিংকের সংক্ষিপ্ত পরিিচতি:
এটি একটি মৌলিক ধাতু। রাসায়রিক প্রতীক Zn , আণবিক সংখ্যা-৩০।
জিংকের কাজ:
১/ অনেক প্রয়োজনীয় এনজাইম এর অংশ হচ্ছে জিংক। কার্বনিক এনহাইড্রেজ , এলকালাইন ফসফাটেজ , প্যানক্রিয়াটিক কার্বস্কি পেপটাইডেজ এবং সাইটোসোলিক সুপার অক্সাইড ডিসমিউটেজ।
২/ চোখের রেটিনা জিংক যুক্ত এনজাইম ‘রেটিনন রিডাকটেজ’ ধারন করে। এই এনজাইম ‘রেটিনিন’ গঠনে প্রয়োজন হয়।
৩/ এটি যকৃতের জম্কৃত ভিটামিন-এ কে প্রয়োজন অনুসারে রক্ত স্রোতে পাঠাতে কাজ করে।
৪/ ইনসুলিন প্রস্তুতিতে প্রয়োজন হয়। প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ ইনসুলিন জমা এবং নিঃসরনের কাজে জিংকের ভূামকা রয়েছে।
৫/ ক্ষত সাড়াতে জিংকের ভূমিকা জড়িত।
অভাবজনিত লক্ষন:
জিংক এর অভাবে শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্রজনন অঙ্গ গুলো পরিণত হয় না।
খাদ্যে জিংকের উঃস:
যকৃত, প্যানক্রিয়াস , শেলফিস, লেগুমস , মাংশ , ডিম , সামুদ্রীক খাদ্য প্রভৃতি।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
বয়স্ক: ১৫-২০ মি:গ্রাম।
জিংক এর শোষন:
প্রাণী জিংক অন্ত্র দ্বারা ভাল শোষিত হয়। উদ্ভিদ জিংক ফাইটিক এসিড দ্বারা শোষন বাধা গ্রস্ত হয়।
উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ নিন্মের ১০টি খাদ্য তালিকা :
কপার
কপার এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
কপার একটি রাসায়নিক মৌলিক পদার্থ। এর প্রতীক Cu , আণবিক সংখ্যা-২৯। এটি অত্যন্ত সুপরিবাহী মৌলিক ধাতু। প্রকৃতিতে এটি পাওয়া যায়।
মানব দেহে কপারের কাজ:
১/ কম পক্ষে ১১টি এনজাইম এবং সকল অক্সিডেজ কপার ধানর করে। কপার সংযুক্ত অক্সিডেজ গুলো হলো;সাইটোক্রোম অক্সিডেজ , সুপার অক্সিডেজ , ডিসমিউটেজ ,
ফ্যারোঅক্সিডেজ , টাইরোসিনেজ , ইউরিডেজ , ডোপামিন বিটা-হাইড্রোক্সিনেজ , লাইসিল অক্সিডেজ প্রভৃতি।
২/ হিমোগ্লোবিন সংশ্লেষন এর জন্য কপার প্রয়োজন হয়। এটি আয়রন এর শোষন , পরিভ্রমন , এবং ব্যবহার এর উপর পরোক্ষ ভাবে কাজ করে।
৩/ এটি হাড় গঠন এবং স্নায়ু আবরনী (মায়েলিন) গঠনে কাজ করে।
কপার জনিত রোগ:
হাড় এবং স্নায়ুর রোগ হয় । প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
উইলসন ডিজিজ: এটি কপার বিপাক প্রক্রিয়ার বংশগত ত্র“টি। লিভার ও মস্তিষ্কে অধিক কপার সঞ্চিত হওয়া , প্রস্রাব এর মাধ্যমে অধিক পরিমানে কপার বের হওয়া । অতিরিক্ত কপার সঞ্চয়ে লিভার সিরোসিস ও কিডনি অকার্যকর হয়।
খাদ্যে কপারের উৎস:
লিভার , কিডনি , ডিমের কুসুম , শামুক এবং লেগুমস।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
২-৩ মি:গ্রাম।
অন্ত্রে কপারের শোষন:
অন্ত্রের ডিওডেনাম অংশে কপার শোষিত হয়।
ফো¬রিন:
ফ্লোরিনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি একটি রাসায়নিক মৌলিক অধাতু পদার্থ। এর প্রতীক F , আণবিক সংখ্যা-৯। স্বাভাবিক তাপে ও চাপে এটি ফিকে হলুদ গ্যাসীয় পদার্থ। এটি ঋর্ণাত্মক আধান যুক্ত অত্যন্ত সক্রিয় মৌল।
দেহে এর কাজ:
১/ খুব সামান্য পরিমান ফ্লোরিন দাঁত ও হাড়ের গঠনের জন্য প্রয়োজন হয়।
২/ ফ্লোরাইড আয়ন মুখের ব্যাকটেরিয়ার এনজাইম বিপাক কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এবং স্থানীয় ভাবে উৎপন্ন এসিড কে নিরপেক্ষ করে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ফ্লোরিন দাঁতের এনামেল নষ্ট করে।
খাদ্যে ফ্লোরিন এর উৎস:
খাওয়ার পানি হচ্ছে প্রধান উৎস।
অন্ত্রে শোষন:
ক্ষুদ্রন্ত্রের মাধ্যমে এটি দ্রুত শোষিত হয়।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
২-৩ পি পি এম
ম্যাগনেসিয়াম:
ম্যাগনেসিয়াম এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এটি একটি রাসায়নিক মৌলিক ধাতু। এর প্রতীক গম , আণবিক সংখ্যা-১২। প্রকৃতিতে মুক্ত ম্যাাগনেসিয়াম পাওয়া যায় না।
দেহে ম্যাগনেসিয়াম এর কাজ:
১/ পেশিস্নায়ুর কার্যক্রম কে পরিচালিত করে। অতিরিক্ত ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুর স্পন্দন থামিয়ে দেয়।
২/ প্রায় শতাধিক এনজাইমের সক্রিয় করার কাজে ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়।
৩/ রক্তে
ম্যাগনেসিয়াম কম থাকলে কোলেষ্টরল বৃদ্ধি পায়।
৪/ প্রায় ৩০০ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন করন।
খাদ্যে ম্যাগনেসিয়াম এর উৎস:
সবুজ পাতাময় শাকশবজি , বাঁধাকপি , ফল , দুধ ও ডিম।
প্রতিদিন প্রয়োজন:
বয়স্ক:২০০-৩০০ মি:গ্রাম।
শিশু: ১০০-১৫০ মি;গ্রাম।
অন্ত্রে ম্যাগনেসিয়াম এর শোষন:
মাত্র ৪০-৫০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রে শোষিত হয়। উচ্চ মাত্রার চর্বি, ফসফেট , ক্যালসিয়াম , এবং ক্ষার এর শোষন বন্ধ করে দেয়। প্যারাথাইরয়েড হরমোন এর শোষন বৃদ্ধি করে।
-----------------------------------------------
No comments:
Post a Comment